অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর বর্তমান প্রযুক্তি দুনিয়ার অন্যতম আলোচিত বিষয়। বাস্তব বস্তুর তথ্য সংগ্রহ করে ভার্চ্যুয়াল অভিজ্ঞতা তৈরির প্রযুক্তিকেই অগমেন্টেড রিয়েলিটি বলা হয়। আর এই প্রযুক্তি নিয়েই বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গবেষণা চালাচ্ছে। এআর গবেষণায় যদি মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়, তাহলে অ্যাপল ও গুগলের নামই উঠে আসবে। আর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অ্যাপলের কাছে আপাতত হেরে যেতে হচ্ছে গুগলকে।
এআরকোর হলো গুগলের অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্ম, যার সাহায্যে অসংখ্য অ্যান্ড্রয়েড চালিত যন্ত্রে এই প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। যা গুগল ২৯ আগস্টউন্মোচন করেছে। তবে আপাতত তা ডেভেলপার পর্যায়ে রেখে প্রযুক্তি দুনিয়ায় দেখানো হয়েছে। অ্যাপল আইওএস ১১–এর সঙ্গে তাদের অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্ম এআরকিট উন্মোচন করার কথা রয়েছে। গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার অ্যাপল যদি তাদের অনুষ্ঠানে এটি প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে থাকে, তাহলে আইফোন ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ তাদের মুঠোফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে।
এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যথাসম্ভব অ্যাপলই এগিয়ে থাকবে। কারণ, এআরকোর আপাতত গুগলের পিক্সেল এবং স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ৮-এ পাওয়া যাবে। যদিও গুগলের পরিকল্পনা রয়েছে ১০ কোটি অ্যান্ড্রয়েড চালিত যন্ত্র এই প্রযুক্তির আওতায় আনা। অন্যদিকে সারা প্রযুক্তি দুনিয়া আইফোন ৮-এর জন্য অনেক আগ থেকেই অপেক্ষা করে আসছে। আর যেহেতু এআরকিট আইফোন ৬ এস বা এরপরের সংস্করণগুলো সমর্থন করবে। তাই বলা যায়, আইফোন ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ অগমেন্টেড রিয়েলিটি ব্যবহার করতে পারবে।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির গবেষণা কার্যত বেশ উন্নত। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারবান্ধব করতে অবশ্যই প্রতিটি যন্ত্রের সঙ্গে উপযুক্ত অ্যাপ তৈরি করতে হবে, যা অ্যাপল বেশ মনোযোগ দিয়েই করছে। এআর সমর্থিত এই অ্যাপগুলোকে কিলার অ্যাপ বলা হয়। অগমেন্টেড রিয়েলিটি গেমগুলোই সবচেয়ে জনপ্রিয় গেম হবে, এমনটাই দাবি গেমপ্রেমীদের। শুধু যে গেমিং অ্যাপ এমনটা নয়, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ছড়িয়ে দিতে সব পর্যায়ের অ্যাপ তৈরিতেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মনোযোগ দিতে হবে। সব দিক বিবেচনায় এআর যুদ্ধে অ্যাপল এগিয়ে। তবে গুগল যেহেতু বেশ আগে (২০১৪ সাল) থেকেই অগমেন্টেড রিয়েলিটি নিয়ে গবেষণা করছে, সে হিসেবে গুগল কী চমক নিয়ে আসে, তা এখন দেখার বিষয়।