আর্টিজানের মালিক এখন থাইল্যান্ডে
আলোচিত হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের মালিক নাসিমুল আলম পরাগ এখন থাইল্যান্ডে। সেখানে বসেই শুক্রবার রাতে তিনি তার রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হামলার খবর পান। এর পর পরই তিনি রেস্টুরেন্টের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনেকবার চেষ্টা করেন। কিন্তু কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেননি।
রেস্টুরেন্টটিতে ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হামলা চালায়। আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করতে করতে তারা রেস্টুরেন্টটিতে প্রবেশ করে। সেখানে ঢুকে প্রথমে এলোপাথারি গুলি করে, পরে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তারা সেখানে অবস্থানরত বিদেশীদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। তাদের গুলিতে পুলিশের সহকারী কমিশনার এবং বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন নিহত হন। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে ছয় সন্ত্রাসীকে হত্যা করলে ঘটনার সমাপ্তি ঘটে।
আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যম বিপুল গুরুত্ব দিয়ে আর্টিজান হামলার সংবাদ প্রকাশ করে। বার্তা সংস্থা এপি কয়েকটি হার্ড রিপোর্টের পাশাপাশি রেস্টুরেন্টটির মালিক নাসিমুল আলম পরাগের বক্তব্য দিয়ে একটি সাইড স্টোরি করে।
নাসিমূল আলম এপিকে বলেন, পাঁচ মিনিট আগেও তিনি হামলার বিষয়ে কিছু জানতেন না। খবরটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে তিনি সফল হননি।
তিনি জানান, রেস্টুরেন্টটির কর্মীর সংখ্যা ৫০ জন। তবে হামলার সময়ে সেখানে ২০ জন দায়িত্বরত ছিল।
জানা যায়, হলি আর্টিজান বেকারির তিনজন মালিক। এর মধ্যে পরাগই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন। যদিও বার্তা সংস্থা এপিকে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি একটি রেস্টুরেন্ট চালু করতে যাচ্ছেন। সেটি নিয়েই তিনি ব্যস্ত।
তবে তিনি কবে থেকে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন, কবে দেশে ফেরার কথা, তার অন্য দুইজন পার্টনার কারা, তারা কোথায় সে বিষয়ে এপির প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের ফেসবুক ফ্যান পেজ থেকে জানা যায়, রেস্টুরেন্টের তিন পার্টনারের একজন হচ্ছেন পরাগের স্ত্রী লিলিয়ান এবং একজন তার বন্ধু সাদাত।
২০১৪ সালের ১৫ জুন রেস্টুরেন্টটি চালু করা হয়। সপ্তাহে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এটি চালু থাকে।
Like this:
Like Loading...