পরিচিত কাঁঠালের বিচির নানা পুষ্টিগুণের কথা নিশ্চয়ই জানেন। এটি বিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হজমশক্তি বাড়ায়। কিন্তু এবারে কাঁঠালের বিচির আরেকটি গুণের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, চকলেট তৈরিতে কোকো বিনের বদলে কাঁঠালের বিচি ব্যবহার করা যেতে পারে।
‘এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি’ নামের এক সাময়িকীতে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
চকলেট তৈরিতে সুবাস আর স্বাদের বিকল্প উৎস খুঁজতে গিয়ে কাঁঠালের বিচির সন্ধান পেয়েছেন ব্রাজিলের গবেষকেরা।
চকলেট তৈরির মূল উৎস হিসেবে ব্যবহৃত কোকো বিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গবেষকেরা তাই ঘাটতি মেটাতে পরিচিত কাঁঠালের বিচিকেই বেছে নেওয়ার কথা বলছেন।
সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, কাঁঠালের বিচিতে চকলেটের মতোই সুবাস তৈরি করা যায়। এ ছাড়া এ বিচি সাশ্রয়ী। চকলেট তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে।
বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৩৭ লাখ টন কোকো উৎপন্ন হয়। কিন্তু আগামী ১০ বছরে কোকো উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা কম। সে তুলনায় চকলেটের চাহিদা বাড়ছে। ২০২০ সাল নাগাদ কোকো বিনের চাহিদা ৪৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।
চকলেটের স্বাদ ও গন্ধের বিকল্পের সন্ধান করতে উঠেপড়ে লেগেছেন গবেষকেরা। তাঁরা কাঁঠালের বিচি থেকে ২৭ ধরনের আটা তৈরি করেছেন। এ আটা তাঁরা বিভিন্ন তাপমাত্রায় পুড়িয়ে চকলেটে ব্যবহারের উপযোগী করেছেন।
গবেষকেরা বলছেন, কাঁঠালের বিচি থেকে তৈরি আটার সঙ্গে কোনো চকলেটের গন্ধে পার্থক্য কম। তথ্যসূত্র: পিটিআই।