আজকের বাংলা তারিখ
  • আজ শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১৯শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, ভোর ৪:৪৪

গুলশানের বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন খালেদা জিয়া

গুলশান হামলার পর থেকে বেগম খালেদা জিয়া নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনার দিন বেগম জিয়াকে ভীষণ উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে সময় পার করতে হয়েছে। ঘটনার পর তার নিকট আত্মীয়রা তাকে ওই বাসা ছেড়ে তাদের বাসায় অবস্থান করার অনুরোধ জানালে তিনি তাতে রাজি হননি। তবে ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে তার নিরাপত্তা ফোর্স সিএসএফ এর পক্ষ থেকে। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য চিঠি দেওয়া হলেও এই ব্যাপারে সরকার অফিসিয়ালি কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি।

তবে বর্তমান ব্যবস্থার চেয়ে তার জন্য আলাদা করে নিরাপত্তা বাড়ানো সম্ভব হবে না বলে জানান সরকারের একজন নীতি নির্ধারক মন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন তিনি একজন সাধারণ নাগরিক ও একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। অন্য কোন প্রটোকলে তার নিরাপত্তা বর্তমানের চেয়ে বাড়ানো সম্ভব হবে না। গুলশান এলাকায় এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বাড়ানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, গুলশান হামলার পর থেকে বেগম জিয়ার নিরাপত্তা পর্যাপ্ত মনে করছেন না দলের কর্মীরা, অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে বাড়তি নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিএনপি ও সিএসএফ এর তরফ থেকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই জন্য সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বরাবর একটি চিঠি দেন। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। ওই চিঠির কপি স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চেও পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠি দেওয়ার পর নতুন করে তার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত কোন পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, ম্যাডামের জন্য সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার। না হলে কোন ঘটনা ঘটলে সেই দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। কিন্তু সরকার তা নিচ্ছে না। নিরাপত্তাও বাড়াচ্ছে না। এদিকে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরকারের তরফ থেকে যেটা নেওয়া হয়েছে তাও অপর্যাপ্ত। যেহেতু তার বাসার পাশেই এই ধরনের একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে করে তার নিরাপত্তা সরকারের তরফ থেকেই বাড়ানোর দরকার ছিলো। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য তার বাসভবনে আরো অতিরিক্ত এক প্লাটুন ও বাইরে ছয় জন পুলিশ কনস্টেবল প্রয়োজন। দুই জন গানম্যানও দিতে অনুরোধ করা হয়।

সূত্র জানায়, এখন খালেদা জিয়ার বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে ২ গানম্যান চাওয়া হয়েছে। পাঁচজন পুলিশ পাহাড়া রয়েছে। এছাড়াও তিনি বাইরে গেলে এই জন্য বাইরে নিরাপত্তা পান। পুলিশ তার নিরাপত্তায় কাজ করে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তার নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তারা চাইলেইতো সব সময় তা দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ এখানে সরকারি নিয়ম রয়েছে। প্রটোকলও রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সব ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

বিএনপির সূত্র জানায়, পুলিশ রুটিন দায়িত্ব পালন করে। ২০০৮ সাল থেকে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ফোর্স সিএসএফ। সিএসএফ এর সঙ্গে দুই জন গানম্যান খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। গত বছর আন্দোলনে সময়ে তার বাসা থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও পরে আবার এই বছরের শুরুতে বহাল করা হয়। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে কারামুক্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পর্যায়ক্রমে সিএসএফ গঠন করা হয়।

সূত্র আরো জানায়, সরকার গুলশান এলাকায় যেসব বাড়িতে বাণিজ্যিক কোন অফিস, প্রতিষ্ঠান করা যাবে না মর্মে সেই সব প্রতিষ্ঠান তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যালগুয়গুলোও তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সেই জন্য চিঠিও দিবে। খালেদা জিয়ার অফিস স্থানান্তরের জন্য এখনও চিঠি তারা না পেলেও এই জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিএনপির সূত্র জানায়, তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের বাসায় উঠেন। এর আগেই তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় ছিলো। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এখন সরকার গুলশান থেকে এই ধরনের অফিস রাখা যাবে না বলা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে সরকার চেয়ারপারসনের অফিস সড়ানোরও সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেই হিসাবে নতুন করে একটা ঝামেলা বাড়বে। অফিস বদল করলে বাসাও বদল করতে হতে পারে।

তিনি হলি আর্টিজানের ঘটনার পর বাসা বদল করার কথাও বিবেচনা করছেন। তবে কোথায় যাবেন। সব জায়গায়ই এখন একই অবস্থা । নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। তিনি এখন যে বাসায় থাকছেন ওই বাসার পাশেই তার বাড়ি। ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকায় সেখানেও উঠতে পারছেন না। তাছাড়াও ওই বাসাও একেবারেই কাছে। সেখানেও সমস্যা। সব মিলিয়ে তার উপর নিরাপত্তা হুমকির বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আলোচনা করেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য চাইলেই একটি নিরাপদ ও একক বাড়ি পাওয়া যাবে না। কারণ এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই বহুতল ভবন গড়ে উঠছে। এই জন্য একক বাড়ি পাওয়া কঠিন।

– See more at: http://www.bdmorning.com/top-news/116227#sthash.UbM8Y3RU.dpuf

MY SOFT IT Wordpress Plugin Development

Covid 19 latest update

# Cases Deaths Recovered
World 0 0 0
Bangladesh 0 0 0
Data Source: worldometers.info

Related News

১০ বছর ধরে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক করছে চিন, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল ‘ব্ল্যাকবেরি’

বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য খবরের শিরোনামে রয়েছে চিন। এই দেশেরই এক শহরে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, ...

বিস্তারিত

হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে যোগ দিতে পারবেন চারজনের বেশি ইউজার

লক ডাউনের মধ্যে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভিডিও কল। আর সেই কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ...

বিস্তারিত

বেঁচে গেল মানব জাতি, পৃথিবীর পাশ ঘেঁষে বেরল বিরাট গ্রহাণু

নিউইয়র্ক: কান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল প্রায় ২ কিলোমিটার ...

বিস্তারিত
করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত চীনে স্মার্ট হেলমেট

করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত চীনে স্মার্ট হেলমেট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হওয়া নতুন রোগী শনাক্তে অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সম্প্রতি দেশটির কিছু ...

বিস্তারিত
%d bloggers like this: