১৪০ ক্যারেক্টার। এ-ই হলো টুইট করার সর্বোচ্চ সীমা। অক্ষর ও দুই শব্দের মাঝখানের স্পেসসহ ১৪০ ক্যারেক্টারের বেশি ব্যবহার করা যায় না টুইটারে। ফেসবুক বহু আগে এই শব্দের সীমানা ভাঙলেও এখনো টুইটারের স্বকীয়তা হয়ে আছে ১৪০ ক্যারেক্টার। তবে সেটিকে দ্বিগুণ করার চিন্তাভাবনা চলছে। টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে তারা ২৮০ ক্যারেক্টার চালু করতে যাচ্ছে। সেটি সফল হলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সবার জন্য। তখন এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ আয়তনের হয়ে যাবে টুইট।
টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছে এই খবর খুশির হয়েই আসার কথা। ফেসবুকের চেয়ে অনেকের কাছেই টুইটার বেশি জনপ্রিয়, কারণ এতে বন্ধুতালিকা নেই, আছে অনুসরণ তালিকা। একজন ব্যবহারকারী নিজে ঠিক করে নেন তিনি কাকে কানে অনুসরণ করবেন। ফলে তাঁর নিউজ ফিডে পছন্দের তথ্যগুলোই আসে। ফেসবুকে বন্ধুরা থাকে বলে এমন অনেক অপ্রয়োজনীয় স্ট্যাটাস বা পোস্ট নিউজ ফিডে আসে, যেটি অনেক সময় বিরক্তিকর। আবার এখানে পোস্টগুলোও হয় ছোট ছোট। বাহুল্য থাকে না।
এই ছোট পোস্টগুলোই টুইটার-ভক্তদের কাছে বিরক্তির কারণও ছিল। ১৪০ ক্যারেক্টারে সব সময় সবকিছু বলে বোঝানো যেত না। বিশেষ করে কোনো বিবৃতি দিতে গেলে তারকারা একাধিক সিরিজ টুইট করতেন বা বিবৃতিটি ছবি আকারে পোস্ট করতে হতো।
টুইটার এখানেই আনতে চলেছে বড় পরিবর্তন। আপাতত নির্দিষ্টসংখ্যক কিছু টুইট ব্যবহারকারী ২৮০ ক্যারেক্টারে লেখার এই সুবিধা পাবেন। পরে যেটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
একসময় ফেসবুকের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিলেও ব্যবহারকারীর সংখ্যায় টুইটার অবশ্য বেশ পিছিয়ে পড়েছে। এখন সক্রিয় টুইটার ব্যবহারকারী ৩২ কোটি ৮০ লাখ। ফেসবুকের যেটি ২০০ কোটি।
সূত্র: এএফপি।