মোবাইল খাতের বিনিয়োগ এক লাখ কোটি টাকা
দেশের ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটর মিলে এ পর্যন্ত সরাসরি এক লাখ (৯৮,৪৩৬) কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে। টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সন্দেহ নেই বিনিয়োগ আর অবকাঠামোগত দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে গ্রামীণফোন। আর বিনিয়োগে সবার নিচে টেলিটক। তবে অবকাঠামোতে সবার নিচে সিটিসেল।
কিছুদিনের মধ্যে হিসাবের এই চিত্র প্রশ্নোত্তরে জাতীয় সংসদকে অবহিত করবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তুলনামূলক চিত্রটি বলছে, ১৯৯৭ সালে যাত্রার করার পর থেকে গ্রামীণফোন এ পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। সেখানে টেলিটকের বিনিয়োগ ৩ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। যদিও অপারেটরটি যাত্রা শুরু করেছে ২০০৫ সালে।
বাংলালিংক আর রবির বিনিয়োগ ২১ হাজার কোটি ও ২০ হাজার কোটি টাকা। তবে বাংলালিংকের এই বিনিয়োগের বড় অংক এসেছে ২০০৫ সালের পর। অপারেটরটি সেবা টেলিটকম নামে ১৯৯৭ সালে রবির সঙ্গে যাত্রা করলেও ২০০৫ সালে অপারেটরটির হাত বদল হয়ে ওরাসকমের কাছে চলে যায়। তারপর থেকেই তাদের বিনিয়োগের বড় অংশ এসেছে।
চতুর্থ অপারেটর এয়ারটেল বিনিয়োগ করেছে ১০ হাজার কোটি টাকা। আর সবচেয়ে আগে থেকে অপারেশনে থাকা সিটিসেলের বিনিয়োগ ৪ হাজার কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে অবকাঠামোর অংশে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণফোনের ছয় হাজার থ্রিজি সাইট থাকাসহ মোট ১২ হাজার ২৪০টি বিটিএস থাকার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কিছুদিন আগে গ্রামীণফোন ৯ হাজার থ্রিজি সাইটের ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলালিংকের ৪ হাজার ৩০০ থ্রিজি সাইটের পাশাপাশি মোট ৯ হাজার ৬০০ বিটিএস আছে বলে বলা হয়েছে। আর রবি বলছে, তাদের ৪ হাজার ১০০ থ্রিজি সাইটসহ ৯ হাজার ৮’শ বিটিএস রয়েছে।
সেখানে এয়ারটেলের ২ হাজার ২০০ থ্রিজি সাইটসহ মোট বিটিএসের সঙ্গে ৬ হাজার ৩০০। টেলিটকে দেড় হাজার থ্রিজি সাইটের সঙ্গে ৩ হাজার ৭৫০টি বিটিএস আছে বলে উল্লেখ করেছে। আর সিটিসেলের মোট বিটিএস ২ হাজার ৭০০।
পরিকল্পনা অংশে টেলিটকের জন্যে থ্রিজি সম্প্রসারণ এবং ফোর জি’র কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
Like this:
Like Loading...