সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবহারকারীদের করণীয়
ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন সামাজিকতা রক্ষা থেকে শুরু করে ব্যাংকিং কিংবা কেনাকাটা সবই করা যায় অনলাইনে। তবে অনলাইনে কোনো কাজ করতে গেলে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে থাকতে হয় একটি অ্যাকাউন্ট। আর ব্যাংকিং কিংবা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সবসময় থাকে সাইবার অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তুতে। সাম্প্রতিককালে সাইবার অপরাধের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না ইমেইল অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা ব্যাংকিং সংক্রান্ত কোনো অ্যাকাউন্ট। অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার এমনই কিছু উপায় আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো—
দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার: বর্তমানে প্রায় সব ধরনের ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মাধ্যমে পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি আরও একটি পিন কোডের প্রয়োজন হয় যা তাত্ক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং একটি কোড কেবল একবারই ব্যবহার করা যায়।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার: অনেকেই কোথাও অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে এ বিষয়টির উপর খুব একটা গুরুত্ব দেন না। কিন্তু কোনো অ্যাকাউন্টে সাইবার হামলার ক্ষেত্রে এটিই প্রথম ধাপ। পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার জন্য এতে আপারকেস, লোয়ারকেস, সিম্বল, নাম্বার, স্পেশাল ক্যারাক্টার প্রভৃতি যুক্ত করুন।
পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারে সতর্কতা: ফ্রি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের তুলনায় এসব নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে দুর্বল থাকায় সাইবার অপরাধীরা হাতিয়ে নিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য।
নিজের ডিভাইস ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস থেকে লগইন না করা: অনেকেই নিজের কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন ছাড়াও অন্যের ডিভাইস থেকেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে লগইন করে থাকেন। তবে এই কাজটি একেবারেই করা যাবে না। কারণ ওই ডিভাইসে হয়তো এমন কোনো ম্যালওয়্যার বা প্রোগ্রাম লুকানো থাকতে পারে যা পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে সক্ষম।
লিঙ্ক থেকে দূরে থাকা: বর্তমানে বিশেষ করে ফেসবুকে এটি বেশি চোখে পড়ে। কেউ একটি লিঙ্ক শেয়ার করলে অনেকেই তাতে ক্লিক করে বসেন। কিন্তু বিশ্বস্ত কোনো ওয়েবসাইট না হলে সেই লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত্ না। কারণ এর মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি বেদখল হয়ে যেতে পারে।
অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার এবং অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার: কম্পিউটার, ট্যাব এবং স্মার্টফোনে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের আক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি ম্যালওয়্যার ও অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন।
Like this:
Like Loading...