অফিসের টয়লেট ব্যবহারে
কর্মজীবী সবারই দিনের একটি বড় সময় কাটে অফিসে। কাজের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া থেকে টয়লেট ব্যবহার—সবটাই প্রয়োজন অফিসে। অফিস আনুষ্ঠানিক জায়গা। সেখানে কাজের ক্ষেত্রে যেমন নানা নিয়ম মেনে চলতে হয়, তেমনি টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু আদবকেতা মেনে চলা উচিত। অনেকেই আবার অন্যের অফিসে গিয়ে টয়লেট ব্যবহার নিয়ে পড়েন ঝামেলায়।
টয়লেট মানেই সেখানে জীবাণুর কারখানা। আর অফিসে প্রচুর মানুষ থাকায় অফিসের টয়লেট থাকে আরও বেশি জীবাণুপূর্ণ। তাই নিজের জায়গা থেকে অফিসের টয়লেট পরিচ্ছন্নভাবে ব্যবহার করা খুবই জরুরি। তা ছাড়া অফিসের টয়লেট ব্যবহারের সময় কিছু আদব মেনে চলা উচিত বলে জানালেন, অ্যাডভান্স ক্লিনিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের হেড অব অপারেশন মো. জাকির হোসেন।
* অফিসের টয়লেট ব্যবহারের সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এটি অনেকে ব্যবহার করেন। তাই সেটি পরিচ্ছন্নভাবে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই ব্যবহারের পর নোংরা অবস্থায় টয়লেট রেখে যাওয়া উচিত নয়।
* টয়লেটে ঢুকে দরজাটা অবশ্যই খুব ভালোভাবে আটকে (লক) নিতে হবে।
* ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকে অফিসে। সেটা লেখা বা ছবি দিয়ে বোঝানো হয়। তাই ভুল করে অন্যের টয়লেটে ঢুকে যাচ্ছেন কি না দেখে নিন। যদি এমন হয় যে আপনি একজন পুরুষ কর্মী, কোনো নারী নেই দেখে আপনি তাঁদের টয়লেটে গেলেন, সেটাও অন্যায়।
* টয়লেটের ভেতরে কেউ থাকলে দরজায় বারবার টোকা দেওয়া উচিত নয়।
* নারী কর্মীদের খুব দরকার না পড়লে তাঁদের ব্যাগ টয়লেটে না নেওয়াই ভালো। এ ছাড়া দামি কোনো জিনিস টয়লেটে নেবেন না।
* টয়লেটের দেয়ালে কিছু লেখা ও দাগ দেওয়া ঠিক না। কারণ, সেটা অফিসের অন্য কর্মীরাও ব্যবহার করেন। এতে অফিসের সুনাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
* টয়লেট ব্যবহারের পর টিস্যু ব্যবহার করুন। অ্যান্টিসেপটিক সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন। টিস্যু ব্যবহারের পর নির্ধারিত ঝুড়ি বা বাস্কেটে ফেলুন।
* অফিসের টয়লেটে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মোবাইলে বেশি সময় কাটানোর ফলে অনেকে বেশি দেরি করে ফেলেন, যা অন্যদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। অফিসের টয়লেটে বসে বই পড়া থেকেও বিরত থাকা উচিত।
* অফিসের টয়লেটে ধূমপান করা যাবে না। এতে টয়লেটে খুবই দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ ছাড়া সহকর্মীদের কাছে বিষয়টি দৃষ্টিকটু। অনেক অফিসে ধোঁয়া শনাক্তকরণ যন্ত্র বসানো থাকে। তাই টয়লেটের ধোঁয়া থেকে দুর্ঘটনা বা বিড়ম্বনা দুটোই ঘটতে পারে।
* টয়লেট ব্যবহারের পর বা হাত ধোয়ার পর ট্যাপ খুব ভালোভাবে আটকে রাখুন। পানির অপচয় থেকে বিরত থাকুন।
* টয়লেটে ঢোকার সময় টয়লেটের বাতাস বের করে দেওয়ার এগজস্ট ফ্যানটি অন করে দিন এবং বের হওয়ার সময় ফ্যান ও টয়লেটের বাতি নিভিয়ে বা অফ করে দিতে ভুলবেন না।
* টয়লেটের বেসিনে চুল বা সাবানের খোসা বা পানি আটকে রাখার মতো কিছু ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
* কখনো যদি আপনি খেয়াল করেন যে টয়লেট নোংরা অবস্থায় আছে, তাহলে ক্লিনার ডেকে তা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিন।
* কমোড হলে বসার জায়গা ভালো করে দেখে নিন। অনেক সময় অন্যের অসাবধানতায় সেখানে ময়লা বা পানি লেগে থাকতে পারে। নোংরা হলে পরিষ্কার করে তারপর সেখানে বসুন।
* টয়লেট ব্যবহার করার পর ফ্ল্যাশ ব্যবহার করতে কোনোভাবেই ভুলবেন না।
* মেয়েদের ক্ষেত্রে স্যানিটারি ন্যাপকিন কখনো ফ্ল্যাশ করা ঠিক নয়। নোংরা ন্যাপকিন ডাস্টবিনে ফেলুন।
* এ ছাড়া টয়লেটে কমোড না থাকলে বসার আগে খানিকটা পানি ঢেলে দিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে।
Like this:
Like Loading...