পুরো হোমপেইজ জুড়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে অরিত্রি অধিকারীর ছবি।ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৫ বছর বয়সী মেয়েটি পরীক্ষায় মোবাইল ফোন এনে ধরা পড়ে। শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ আনেন, ডাকা হয় অভিভাবকদের। তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে হয় উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষের রুমে। মেয়ের টিসি (স্কুল বদলের জন্য দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতেও বলা হয় তার বাবা মাকে। আকস্মিক এ পরিস্থিতিতে আত্মহত্যা করে বসেন ওই ছাত্রী।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী শিক্ষিত সমাজ। অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক ঘটনাটিতে বেশিরভাগই দুষছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে।এক ব্যবহারকারী লেখেন, বয়সটাই এমন (১৫ বছর) যে ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রথমেই কঠিনভাবে মোকাবেলা না করে একবার কি বোঝানো যেত না? একবার সুযোগ দেয়াটা কি খুব বেশি অনুচিত?আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, দুঃখজনক। গলা ভারী হয়ে আাসছে। মোটিভেট করা যেত শিশুটিকে। তার বাবা-মাকে শিশুটির সামনে অপমান মেনে নেয়া যায় না।ভালো স্কুল মানে ভালো জেলখানা। প্রতিবাদ না হলে আপনার সন্তানও ভালো স্কুলের খপ্পরে পড়বে …..সব হারাবেন বলে মন্তব্য করেন অন্য এক ব্যবহারকারী।শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীদের মন বুঝে চলার পরামর্শ দেন আরেক ফেইসবুক ব্যবহারকারী।
সঠিক লোককে সঠিক চেয়ার দিতে হবে। নকল করা যে অনৈতিক কাজ এ মূল্যবোধ শিক্ষার্থীদের ভেতর সৃষ্টি করাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও দ্বায়িত্ব। সেই নকল করার অপরাধে বাবা-মাসহ শিক্ষার্থীকে অপমানিত করাটা আরও অনৈতিক বলে মন্তব্য করেন আরেক ব্যবহারকারী।আরেকজন লেখেন, নকল করলে শিক্ষার্থীর খাতা বাতিল করতে পারেন বা বড় অপরাধ করে থাকলে টিসি দিতে পারেন কিন্তু তাই বলে অভিভাবকে অপমান করা মানা যায় না।