বৈশ্বিক সেরা ব্র্যান্ডের তালিকায় বেশ কয়েক বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। গতবারের মতো এবারও ব্র্যান্ড র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম স্থানটি দখল করেছে গুগল। ব্র্যান্ডস গ্লোবাল র্যাঙ্কিং ২০১৭ অনুসারে এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাপলকে হারিয়ে শীর্ষ স্থানে নাম লিখিয়েছে। গুগলের জন্য অবশ্য তা মোটেই সহজ ছিল না। কারণ ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর ধরে অ্যাপলের দখলে ছিল শীর্ষ স্থান।
অ্যাপলের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালে, প্রথম স্থান থেকে চলে আসে দ্বিতীয় স্থানে। আর এ বছরও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে হচ্ছে অ্যাপলকে। এ বিষয়ে পর্যালোচনা চালিয়েছে কান্টার মিলওয়ার্ড ব্রাউন নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের মতে, গতবারের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে অ্যাপলের ব্র্যান্ড মূল্য ২৩ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার। অপরদিকে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রথম স্থানে থাকা গুগলের ব্র্যান্ড মূল্য ২৪ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। এ বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে, অ্যাপলের এই অবস্থার কারণ কি অ্যাপল পণ্যের প্রতি গ্রাহকের আগ্রহ কমে যাওয়া? অপরদিকে কেনই-বা গুগলের প্রতি আগ্রহ হঠাৎ করে বেড়ে গেল? অ্যাপলের ক্ষেত্রে প্রশ্নের জবাব দেওয়াটা কঠিন হতে পারে। তবে চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যতে ঘরে ব্যবহারের উন্নত প্রযুক্তি হয়তো গুগলকে এগিয়ে রেখেছে।
এদিকে তিন বছর ধরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মাইক্রোসফট করপোরেশন। মূলত সারফেস স্টুডিও কম্পিউটারের জন্য মাইক্রোসফটের ব্র্যান্ড মূল্য ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৪ হাজার ৩২২ কোটি ডলার। এই পর্যালোচনা ৫১টি দেশের ৩০ লাখ গ্রাহকের সাক্ষাৎকার থেকে ৪৬ লাখ পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে কান্টার মিলওয়ার্ড।
প্রযুক্তিপ্রেমীদের প্রশ্ন, প্রথম তিন স্থানকে টক্কর দেওয়ার মতো কোনো ব্র্যান্ড রয়েছে? তাহলে এই তালিকাই উত্তর দিয়ে দেবে। তা হলো অ্যামাজন। কারণ অ্যামাজনের ব্র্যান্ড মূল্য ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছর আগেও নিজেদের অবস্থান শীর্ষ ২০-এ রাখার জন্য লড়াই করে যাচ্ছিল। ব্র্যান্ড র্যাঙ্কিং সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে গুগল, অ্যাপল ও অ্যামাজন কোনো মন্তব্য করেনি। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার। শীর্ষ পাঁচে থাকা গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন এবং ফেসবুক প্রথম ১০০টি ব্র্যান্ডের ২৫ শতাংশ ব্র্যান্ড মূল্যের অধিকারী। অনেকেই আবার খুব উল্লাস প্রকাশ করেছেন ইউটিউব, স্ন্যাপ ও নেটফ্লিক্স শীর্ষ ১০০ ব্র্যান্ড তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য।
সূত্র: সিনেট