স্মৃতির বংশগতি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দুটি জিনের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগী হয়েছেন। জিন দুটি হচ্ছে এপিওই (অচঙঊ) এপিলিপ্রোটিন ই জিন ও কিবরা জিন।
দুটি জিনই প্রোটিন সম্পকির্ত কাযর্ক্রমে সক্রিয় থেকে ভ‚মিকা রাখে স্মৃতি প্রক্রিয়ায়। অথার্ৎ স্নায়ুকে স্মৃতি সংরক্ষণ এবং স্মৃতি ব্যবহারে পারদশীর্ করতে একটি জিন গ্রæপ কাজ করে। সে জিন গ্রæপের অন্যতম সদস্য হচ্ছে এপিওই ও কিবরা জিন। স্মৃতি সম্পকির্ত রোগ যেমন অ্যালকোইমায়মসহ নানারকম রোগ সেগুলো ব্যাখ্যা করা সম্ভব হচ্ছেÑ এপিওই, কিবরা প্রভৃতি জিনের ত্রæটির মাধ্যমে।
আমরা স্মৃতি নিমার্ণ প্রক্রিয়ার সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করি। স্মৃতির রয়েছে নানাবিধ রকমসকম। প্রথমেই চলে আসে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে যে তথ্য মানুষ গ্রহণ করে সে তথ্যের স্মৃতি। এ স্মৃতিকে বলা হয় সেনসরি মেমোরি (ঝবহংড়ৎু গবসড়ৎু)। অল্প কয়েক সেকেন্ডের এ মেমোরি। এ মেমোরি পরে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি ও দীঘর্স্থায়ী স্মৃতি প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে যায়।
স্মৃতিবিষয়ক ধারণার অন্যতম অজর্ন হিসেবে কাযর্কর স্মৃতিকে (ড়িৎশরহম সবসড়ৎু) অনেক বিজ্ঞানী দেখে থাকেন। মস্তিষ্ক কোনো স্মৃতিকেই হারিয়ে ফেলে না। সচেতন মনে হোক, আর অবচেতন মনেই হোক মস্তিষ্ক প্রতিটি স্মৃতিকে ধরে রাখে। অবচেতন স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখে পরিবতির্ত প্রোটিনের মাধ্যমে। তারপর আমরা যদি স্মৃতির অন্য বিভাজনকেও বিবেচনায় নিই যেমন সেনসরি মেমোরি, জেনেটিক মেমোরি প্রভৃতি সব স্মৃতিকেই মস্তিষ্ক ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কাযর্কর স্মৃতিতে রূপান্তর করতে পারে। কাযর্কর স্মৃতির কেন্দ্রীয় পরিচালনা (ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ) হয়ে থাকে উচ্চতর মস্তিষ্কে বা সেরেব্রাল কটেের্ক্স। মূল পরিচালনাটা হয় ফ্রন্টলি লোপে একেবারে সামনে প্রিফ্রন্টাল কটেের্ক্স। প্রিফ্রন্টলি কটেক্সের কাজ পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে সেরেব্রাল কটেের্ক্সর অন্যান্য লোব বা অংশ অথার্ৎ টেমপোরাল লোব, প্যারেইটলি লোব এবং অক্সিপিটাল লোব। কাযর্কর স্মৃতিকে কাজে লাগিয়ে যে ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ তা আসলে পুরনো স্মৃতিকে ঝালিয়ে নেয়া, নতুন স্মৃতি তৈরি করার অন্যতম ধাপ। স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিকে দীঘর্স্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করার জন্য হিপোকাসপাম আসলে ঈবহঃৎধষ বীবপঁঃরড়হ-এর সহযোগিতা নেয়। তবে ঘুমের মধ্যে যখন হিপোক্সসপাস স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিকে দীঘর্স্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করে তখন ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ ঢ়বৎপবহঃং-এর সাহায্য নেয় কিনা তা নিয়ে বিতকর্ রয়েছে। এ-সংক্রান্ত গবেষণা এখনো চলমান। আম্পি ডালা ইমোশনাল মেমোরি তৈরির সময় ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ-এর সাহায্য নেয়।
ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ-কে অনেক বিজ্ঞানী সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগের ধাপ হিসেবে বলে থাকেন। এ ধাপকে তারা বলার চেষ্টা করছেন চিন্তনের ধাপ বা পরিকল্পনার ধাপ। ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ-এর মাধ্যমে চিন্তন বা পরিকল্পনা করে মানুষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বা প্রতিক্রিয়া দেখায়। কিছু কিছু প্রতিক্রিয়া যেগুলো অবচেতনভাবে হয় মানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয় সেগুলো প্রিফ্রন্টলি কটেের্ক্স ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ-এর প্রয়োজন পড়ে না। মধ্য মস্তিষ্ক থেকে স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমেই সেগুলো সংঘটিত হয়।
ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ-এর সময় একটি একক স্নায়ু প্রতিনিধি আসতে পারে, আবার স্নায়ু দলের মাধ্যমে গঠিত টপোগ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা বা লুপ (ঞড়ঢ়ড়মৎধঢ়যরপধষ ঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ ড়হ ষড়ড়ঢ়)-এর প্রতিনিধি আসতে পারে। এ প্রতিনিধি এসে গঠন করে কেন্দ্রীয় টপোগ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা (ঈবহঃৎধষ ঃড়ঢ়ড়মৎধঢ়যরপধষ ঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ)। এ কেন্দ্রীয় টপোগ্রাফিক্যাল উপস্থাপনাই হচ্ছে মানুষের (অন্য অনেক জীবেরও) মানসিক কাযর্ক্রমের ভিত্তি। এটা যেহেতু মানসিক কাযর্ক্রমের ভিত্তি তাই এটা চিন্তনের ভিত্তি। এটা পরিকল্পনার ভিত্তি। এটা ব্যক্তিত্বেরও ভিত্তি। একজন ব্যক্তি কীরূপ হবে তা নিভর্র করে সে তার অভিজ্ঞতাকে কিভাবে ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ করে। সে কিভাবে ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ করে তা তার কেন্দ্রীয় স্নায়বিক উপস্থাপনা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়। প্রতিটি মুহ‚তের্র জন্য, আবার প্রতিটি বিষয়ের জন্য কেন্দ্রীয় স্নায়বিক উপস্থাপনা তৈরি হয়। তাই একজন মানুষ তার সারা জীবনে অসংখ্য কেন্দ্রীয় স্নায়বিক উপস্থাপনা করে। এই কেন্দ্রীয় স্নায়বিক উপস্থাপনাগুলোও মস্তিষ্কের মেমোরি সিস্টেম স্মৃতি গঠন বা সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধরে রাখে। দেখা যায়, পুরনো কেন্দ্রীয় উপস্থাপনাকে স্মৃতি থেকে ধরে নিয়ে এসে নতুন উপস্থাপনা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
পুরনো যে স্মৃতিকে কেন্দ্রীয় স্নায়বিক উপস্থাপনায় নিয়ে এসে ঈবহঃৎধষ ঊীবপঁঃরড়হ করা হয় সে স্মৃতিকেই বলা হয় কাযর্কর স্মৃতি (ড়িৎশরহম সবসড়ৎু)। পুরনো সেনসরি বা মটর স্মৃতিকে যখন কাযর্কর স্মৃতিতে পরিণত করা হয় তখন বলা হয় অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে, আর পুরনো কেন্দ্রীয় উপস্থাপনার স্মৃতিকে যখন কাযর্কর স্মৃতিতে পরিণত করা হয় তখন বলা হয় চিন্তন বা পরিকল্পনাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
মানুষের ভাষাগত স্মৃতিতে চিন্তন বা পরিকল্পনা সম্পকির্ত স্মৃতিই বেশি। কারণ ভাষার উপাদানগুলোকে (ধ্বনি, শব্দ, বাক্য প্রভৃতি) কাজে লাগিয়ে চিন্তন বা পরিকল্পনা মানুষ বেশি করে। তাই সেই প্রসেসড তথ্য (চৎড়পবংংবফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ) ভাষা অঞ্চলের স্মৃতিভাÐারে জমা থাকে। প্রয়োজন পড়লে সেই স্মৃতিভাÐার থেকে নিয়ে আসা হয়। ভাষা অঞ্চল এমন একটি অঞ্চল যে অঞ্চল নিমের মতো করে অন্যান্য যে কোনো ধরনের তথ্য যেমন দৃশ্যসহ সব সেনসরি তথ্য, মটরগত তথ্য, আবেগীয় তথ্য, স্থান-কালের তথ্য সংরক্ষণ এবং বীবপঁঃরড়হ করতে পারে। ভাষা মানুষের একটি অন্যতম স্নায়বিক অজর্ন।
জেনেটিক মেমোরি বলে বিশেষ এক ধরনের স্মৃতি নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন গবেষণা করছেন। এ স্মৃতির অস্তিত্বের বিষয়ে তারা একমত হলেও, কিভাবে এ স্মৃতি কাজ করে তা সুস্পষ্ট করতে আরো সময়ের প্রয়োজন হবে। জেনেটিক মেমোরিকে মনোবিজ্ঞানীরা সেই ধরনের স্মৃতি বলছেন যে স্মৃতি নিমাের্ণ ইন্দ্রিয় অনুভ‚তির কোনো ইনপুট নেই। জন্মের পর শিশুর মাঝে ভাষাসহ বেশ কিছু স্মৃতি প্রোথিত থাকে। এ স্মৃতি জেগে ওঠে পরিবেশ থেকে ইনপুট এলে। জেনেটিক মেমোরিকে এক ধরনের বায়োলজিক্যাল মেমোরিও বলা যেতে পারে।
যা হে
# | Cases | Deaths | Recovered |
---|---|---|---|
World | 0 | 0 | 0 |
Bangladesh | 0 | 0 | 0 |
Data Source: worldometers.info |
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য খবরের শিরোনামে রয়েছে চিন। এই দেশেরই এক শহরে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, ...
বিস্তারিতলক ডাউনের মধ্যে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভিডিও কল। আর সেই কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ...
বিস্তারিতনিউইয়র্ক: কান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল প্রায় ২ কিলোমিটার ...
বিস্তারিতকরোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হওয়া নতুন রোগী শনাক্তে অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সম্প্রতি দেশটির কিছু ...
বিস্তারিত