বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ই-কমার্স সেক্টরের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেবে আমাদের দেশের তরুন প্রজন্মরাই। এই তথ্য যেমন সত্য ঠিক তেমনি ভাবে এও সত্য যে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া চারটি খানি কথা নয়। উদ্যোক্তা হওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ, সফল হওয়া আরও বড় চ্যালেঞ্জ। ই-কমার্স সেক্টরে ব্যাবসা করে সফলতা পেতেও প্রয়োজন ধৈর্য, জ্ঞান এবং চেস্টা।
অনেকেই আছে কোন প্রকার পরিকল্পনা ছাড়া শুধু মাত্র ঝোকের বসে ই-কমার্স ব্যবসায় নেমে পড়ছেন, এতে যেমন তারা সফলতার মুখ না দেখে হতাশায় পরে যাচ্ছেন তেমনি যারা ইতিমধ্যে স্বচ্ছ উপায়ে এই সেক্টরে ব্যবসা করছেন তারাও অসুস্থ প্রতিযোগীতার মধ্যে পরছেন। ই-কমার্স ব্যবসায় নামার পুর্বে সঠিক ভাবে জানতে হবে আসলে ই-কমার্স কি, ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন, ই-কমার্স নিয়ে সচেতনতা ইত্যাদি।
বিশ্বব্যাপি এখন ই-কমার্স ব্যাবসা উদ্যোক্তারা ভাল সফলতা, আপনিও হতে পারেন একজন সফল ই-কমার্স উদ্যোক্তা। ই-কমার্স কি? ই-কমার্স ব্যবসায় নামার আগে কি কি মাথায় রাখা উচিৎ। আন্তর্জাতিক বাজারে এবং বাংলাদেশে ই-কমার্স। সবশেষে আলোচনা করব ই-কমার্সের ইতিহাস।
ই-কমার্স কি?
ই-কমার্স একটা আদর্শ ব্যবসা অথবা একটা বৃহত্তর আদর্শ ব্যবসার অংশ, যেটা যে ভাবে ইন্টারনেটে কাজ হয় ঠিক সে ভাবেই ইকেলট্রিনিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একক বা দলগত ব্যবসা পরিচালনা করে। বাজারের প্রধান ৪ টা অংশই পরিচালনা করে ইলেকট্রনিক কমার্স ব্যবসা থেকে ব্যবসা, ব্যবসা থেকে ক্রেতা, ক্রেতা থেকে ক্রেতা, এবং ক্রেতা থেকে ব্যবসা। ক্যাটালগ থেকে মেইলে অর্ডারের মাধ্যমে কোন কিছু বেশ আধুনিকতম উপয় বা পন্থা বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। বেশীরভাগ পণ্য বা সেবা ই কমার্সের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে।
ই-কমার্স ব্যবসায় নামার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবেঃ
ই-কমার্স ব্যবসার আন্তর্জাতিক বাজারঃ
বর্তমান বিশ্বের তরুণদের অন্যতম বড় অনুপ্রেরনা এবং নতুন উদ্যক্তাদের আইডল জ্যাক মা। ১৯৯৯ সালে অনলাইন স্টোর আলিবাবা প্রতিষ্ঠার আগে জ্যাক মা ছিলেন একজন সামান্য ইংরেজির শিক্ষক। ১৯৯৫ সালে প্রথম আমেরিকায় এসে প্রথম ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেখান থেকেই আলিবাবার উত্থান যা আমাজনের দ্বিগুণ পরিমাণ মার্চেন্ডাইজ করে। এর মূল্য ২০.২ বিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেন তিনি।
(তথ্য সংগ্রহঃ তরুণের অনুপ্রেরনা এবং নতুন উদ্যক্তাদের আইডল জ্যাক মা)
ই-কমার্স ব্যবসা এবং বাংলাদেশঃ
জানি অনেকেই ভাবছেন যে ই-কমার্স বাংলাদেশে সম্ভব নয় চিন কিংবা অ্যামেরিকাতেই সম্ভব। কিন্তু আপনি জানলে হয়ত অবাক হবেন যে বিশ্বসেরা দশ নতুন উদ্যোগের তালিকায় জায়াগা করে নিয়েছে অনলাইন ভিত্তিক দেশের জনপ্রিয় গ্রোসারি শপ বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট চালডাল ডটকম ( chaldal.com )। তালিকায় এই সাইট নবম স্থানে রয়েছে। সারা পৃথিবীতে সেরা পাঁচ শতাধিক নতুন উদ্যোগের মধ্যে সেরা দশ নির্বাচন করেছে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস। আশা করি এর চেয়ে বড় উদাহরনের প্রয়োজন হবে না।
শুধু তাই নয় সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিস খাতের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্র্ভিসেস (বেসিস)-এর অনুরোধে ই-কমার্স এর ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে সরকার। ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের এ ব্যবসায় এগিয়ে আসার এবং জনসাধারণকে অনলাইনে কেনাকাটায় উৎসাহিত করতেই বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগ।
ই-কমার্স ব্যবসার ইতিহাসঃ
১৯৭১ মতান্তরে ১৯৭২ সালে ARPANET ব্যবহার করে মারিজুয়ানা বিক্রি হয় স্ট্যানফোর্ড আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ল্যাব এর স্টুডেন্টদের সাথে ম্যাসাচুসেট ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজির স্টুডেন্টদের মধ্যে।
১৯৭৯ সালে মাইকেল অলড্রিচ প্রথম অনলাইন শপিং এর ডেমো দেখান।
১৯৮১ সালে থমসন হলিডে ইউকে ইনস্টল করে প্রথম বিজনেস টু বিজনেস অনলাইন শপ…
১৯৮২ সালে ফ্রেঞ্চ টেলিকম কোম্পানী মিনিটেল তাদের অনলাইন অর্ডার নেয়া শুরু করে।
১৯৯০ সালে WWW এর জনক টিম বার্নারস লি প্রথম ওয়েব ব্রাউজার শুরু করে যা ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচত।এর ফলে ইন্টারনেট জগতে বিপ্লব সুচনা হয়,অনলাইন শপিং বা ইকমার্স (eCommerce) যাত্রা শুরু করে।
১৯৯২ সালে বুক স্ট্যাকস আনলিমিটেড বুকস ডট কম নামে প্রথম ইকমার্স (eCommerce) শুরু করে অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসিং ব্যবহার করে।
১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে চায়নার ইকমার্স (eCommerce) জায়ান্ট আলিবাবা গ্রুপ।
২০০০ সাল মতান্তরে ১৯৯৮ বা ১৯৯৯ সালে আমাদের দেশ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ইকমার্স (eCommerce) সাইট,নাম মুন্সিজি ডট কম।
২০০১ সাল।আলিবাবা ডট কম লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়।
২০০৩ সালে আমাজন প্রথম লাভের মুখ দেখে এবং তারা প্রথম বাৎসরিক প্রফিট ঘোষনা করে।
২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইকমার্স (eCommerce) সাইট এখনি ডট কম এবং আজকের ডিল ডট কম।
২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইকমার্স (eCommerce) সাইট রকমারি ডট কম।ফেসবুক থেকেও শুরু হয় ইকমার্স (eCommerce) এর মত করে অনলাইন শপিং।ছোট ছোট উদ্যক্তারা ফেসবুক কমার্স থেকে ইকমার্স (eCommerce) এ ধাবিত হন।
২০১৪ তে ইকমার্স (eCommerce) বেশ জনপ্রিয়,কুরিয়ার সার্ভিস,পেমেন্ট গেটওয়ে সহ ইকমার্স (eCommerce) দের জন্য দরকারী অনেক ইনফ্রাস্টাকচার ছাড়াই ইকমার্স (eCommerce) এগিয়ে যেতে থাকে।বাইরের কোম্পানী গুলো বাংলাদেশে মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টের প্রতিযোগিতায় নেমে পরে।
ইকমার্স এর ইতিহাস গুলো উইকিপেডিয়া এবং ইকমার্স এর ইতিহাস এবং বাংলাদেশে ইকমার্স আর্টিকাল থেকে সংগ্রহীত।
আশা করি “ই-কমার্স ব্যাবসায় তরুণদের সফলতা, আপনিও হতে পারেন সফল উদ্যোক্তা” আর্টিকেলটি আপনার ভাল লেগেছে। ই-কমার্স সম্পর্কিত যেকোন তথ্য কিংবা আর্টিকেলটি সম্পর্কে যেকোন প্রশ্ন থাকলে মন্তব্য করতে ভুলবেন না। সব শেষে বলব সকল ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
# | Cases | Deaths | Recovered |
---|---|---|---|
World | 0 | 0 | 0 |
Bangladesh | 0 | 0 | 0 |
Data Source: worldometers.info |
লক ডাউনের মধ্যে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভিডিও কল। আর সেই কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ...
বিস্তারিতনিউইয়র্ক: কান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল প্রায় ২ কিলোমিটার ...
বিস্তারিতকরোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হওয়া নতুন রোগী শনাক্তে অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সম্প্রতি দেশটির কিছু ...
বিস্তারিতপ্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটেছে ব্রহ্মাণ্ডে। এত ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ১৪০০ কোটি বছরের ব্রহ্মাণ্ডে এর আগে আমরা আর কখনও ঘটতে ...
বিস্তারিত