বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বদরুল হুদা খানের ই-লার্নিং বিষয়ক বই অনূদিত হয়েছে আরও দুই ভাষায়। বিশ্বে মডার্ন ই-লার্নিংয়ের এই পথিকৃৎ-এর বই এখন হতে মালেয়েশিয়ার মালয় ও থাইল্যান্ডের থাই ভাষাভাষীরা নিজ ভাষায় পড়তে পারবেন।
ইতোমধ্যে মালয় ভাষার বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে উম্মোচন করা হয়েছে। থাই ভাষায় বই উম্মোচিত হচ্ছে বুধবার ।
ই-লার্নিং নিয়ে ড. খানের বাংলা ভাষায় প্রথম বই ‘ ই-লার্নিং: উম্মুক্ত এবং বিভাজিত শিখণ পরিবেশ’ ২০১৬ সালের ৭ মার্চ উম্মোচন করা হয়। বইটি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প । ওই বইটি দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং পাঠকদের উপযোগী রেখে এটি বাংলায় অনুবাদ করে এটুআই।
ড. বদরুল হুদা খানের বইটিতে ই-লার্নিং কী, এর উপাদান ও বৈশিষ্ট্য, গতানুগতিক শিক্ষাদান ও ই-লার্নিং, শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক ই-লার্নিং, অনলাইন লার্নিং পরিবেশ সম্পর্কিত নীতিমালা, শিখন সামগ্রী ব্যবহার করে কোর্স পরিকল্পনা ও পরিচালনাসহ আরও মূল্যবান বিষয় আলোচিত হয়েছে।
বইটির উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, বইটি বাংলাদেশের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কাজে লাগানো হলে তা যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। ই-লার্নিং নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রথম বইটি সম্পূর্ণ ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে। ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে রচিত বইটির প্রধান উদ্দেশ্য হল -শিক্ষার্থীদের চাহিদামত ফ্লেক্সিবল ও উন্নতমানের অর্থপূর্ণ ই-লার্নিং শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নে সহায়তা করা।
উন্নত দেশগুলোর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. বদরুল হুদা খানের তৈরি করা ই-লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ককে ভিত্তি ধরে চালু করেছে পিএইচডিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কোর্স।
কমনওয়েলথভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও এ শিক্ষাবিদ ই-লার্নিংয়ে পৃথক পরিকল্পনা দিয়েছেন তিনি। ন্যাটো ই-লার্নিং ফোরামও তাঁর ফ্রেমওয়ার্ক ধরেই কাজ করছে। যেটির পরামর্শকও এই অধ্যাপক।
ই-লার্নিং নিয়ে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বই ‘ওয়েব-বেইজড ইনস্ট্রাকশন’ যুক্তরাষ্ট্রে বেস্ট সেলার। বইটি বিশ্বের প্রায় ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক ও রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। ই-লার্নিংয়ে তাঁর বিভিন্ন বই প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের ১৭টি ভাষায়।
মিসরীয় ই-লার্নিং ইউনিভার্সিটি কাউন্সিলের অনারারি অধ্যাপক, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির সাবেক এ অধ্যাপক বাংলাদেশেরই কৃতী সন্তান।
শিক্ষায় প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা বিশ্বখ্যাত অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (এইসিটি) সাবেক এ সভাপতি ভার্চুয়াল এডুকেশনে হোয়াইট হাউস অফিস অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পলিসির (ওএসটিপি) একজন পরামর্শকও।
ই-লার্নিং শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এডিবি, ইউএস ফেডারেল ডিপার্টমেন্ট, শিক্ষা দপ্তরসহ বিভিন্ন বহুজাতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন ড. খান।