এবার হোয়াটসঅ্যাপ যা করতে চলেছে, তাতে বিপদ বাড়তে পারে
হোয়াটসঅ্যাপের নতুন সিদ্ধান্ত কি বিপদ বাড়াতে চলেছে ?
২০১৪ সালে ফেসবুক কিনে নিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এরপর অনেকেই আশঙ্কা করোছিলেন যে এর প্রাইভেসি সেটিংগস বদলে যেতে পারে। তাতে সমস্যায় পড়তে পারতেন ব্যবহারকারীরা। তবে তেমনটা হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যান কোয়াম আশ্বস্ত করেছিলেন সকলকে। একটি ব্লগ পোস্টে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনাদের গোপনীয়তার কথা মাথায় রেখেই আমরা হোয়াটসঅ্যাপ এমনভাবে তৈরি করেছি, যাতে যতটুকু আপনার সম্পর্কে না জানালেই নয়, ততটুকুই অন্যকে জানাবে হোয়াটসঅ্যাপ।’
তবে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা গতকাল জানিয়েছে, তারা এবার নতুন একটি পদ্ধতি আনতে চলেছে যাতে ইউজারের সামান্য কিছু তথ্য তারা শেয়ার করবে ‘অভিভাবক’ ফেসবুকের সঙ্গে। সেই তথ্যের মধ্যে থাকবে ব্যবহারকারীর ফোন নম্বরও।
যদিও হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, তারা এটা করছে ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থেই। এর ফলে ফেসবুক লোকেশন ট্রেসের মাধ্যমে নতুন বন্ধু খুঁজতে সাহায্য করবে ব্যবহারকারীকে। আর ব্যবসায়ীদেরও সাহায্য করবে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে, যাতে তাঁরা উপযুক্ত জায়গায় উপযুক্ত মানুষের মধ্যে বিজ্ঞাপনটি দিতে পারেন। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, তারা সন্ধান চালাচ্ছে কীভাবে ব্যবসায়ীদের আরও সহজে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ যতই আশ্বস্ত করুক, বিশ্বজুড়ে এর ব্যবহারকারীদের মধ্যে কিন্তু-কিন্তু ভাব শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। অনেকেই ভাল চোখে নিচ্ছেন না বিষয়টিকে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টা কোনদিকে গড়ায়, তা সময়ই বলবে।