এশিয়ায় ২০২০ সালে মোবাইল গ্রাহক ৩১০ কোটি ছাড়াবে
২০২০ সালের মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন করে আরও প্রায় ৬০ কোটি মোবাইল গ্রাহক যুক্ত হবে। এই পরিমাণ গ্রাহক যুক্ত হলে এই অঞ্চলে মোবাইল ব্যহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১০ কোটির উপরে। ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ এই অঞ্চলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫০ কোটি।
মোবাইল মোবাইল যোগাযোগ শিল্পের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ একটি গবেষণায় এমন তথ্য তুলে এনেছে।
‘মোবাইল অর্থনীতি : এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল ২০১৬’ নামের গবেষণায় জিএসএমএ দেখাচ্ছে ২০১৫ সালের শেষ দিকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৬২ শতাংশ মানুষের হাতে মোবাইল ফোন ছিল।
গবেষণার ওই প্রতিবেদনে ধারণা করে বলা হচ্ছে, যেভাবে এই অঞ্চলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বাড়ছে তাতে করে ২০২০ সাল নাগাদ আরও প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি নতুন গ্রাহক যুক্ত হতে যাচ্ছে।
এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে যে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০১৫ সালে মোবাইল প্রযুক্তি ও এর পরিসেবার মাধ্যমে এই অঞ্চলের জিডিপিতে অবদান রেখেছে প্রায় ৫ দশমিক ৪। যা আর্থিক হিসাবে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান। আর এই বৃদ্ধি অব্যহত থাকলে ২০২০ নাগাদ এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে প্রায় ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ তা অবদান রাখতে পারবে।
জিএসএমএ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম্যাটস গ্রান্ড্রিড বলেন, এখন বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের। গত দশকে এই অঞ্চলের ব্যবহারকারীরাই মোবাইল অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, নতুন গ্রাহকের সঙ্গে নতুন নেটওয়ার্কে যাওয়ার প্রবণতা এবং অপারেটরগুলোর সেবাও দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে নতুন নতুন সেবাও যুক্ত হচ্ছে।
মোবাইল এশিয়াতে একটা ডিজিটাল সমাজ গঠনে কাজ করছে। যেখানে গ্রাহকরা যেকোনো স্থান থেকে, যেকোনো ধরনের সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা পায়। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চেলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পিছনে মোবাইল ফোন প্রধান ডিভাইস বলে বলেছেন ম্যাটস গ্রান্ড্রিড।
গবেষণার ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান চারটি মোবাইল বাজার রয়েছে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং জাপানে।
গত বছরের তিন প্রান্তিকের হিসাবের আলোকে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে শুধু ভারতেই ২৫০ মিলিয়ন গ্রাহক বাড়বে। তবে ছোট দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও পাকিস্তান নতুন গ্রাহক বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও গত বছর মোবাইল ব্রডব্রান্ড সংযোগ ছিল (থ্রিজি-ফোরজি মিলিয়ে) ৪৫ শতাংশ। রিপোর্ট বলছে এই পরিমাণ ২০২০ সাল নাগাদ হবে ৭০ শতাংশ।
এখন ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তারে এশিয়া প্যাসিফিকের দেশগুলো জোর দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য এই অঞ্চলের অপারেটরগুলো বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর এক তৃতীয়াংশ ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে এবং সেবা পাবে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
এই অঞ্চলে ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তার কাজ সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, মালোয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। তবে এশিয়া প্যাসিফিকের ফোরজি নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটা শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের হাত ধরে। যারা এখন ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিস্তারের কাজে নেমেছে।
Like this:
Like Loading...