এ মাসেই বাণিজ্যিক কার্যক্রমে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল
অনেক দিন থেকে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের আলোচনা চললেও অবশেষে তা গ্রাহকের হাতে যাচ্ছে। সম্প্রতি সাগরের তলদেশ দিয়ে আসা এ ইন্টারনেট মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা বাস্তব রূপ নিয়েছে।
এ ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের। এর মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সেবা আরও সহজলভ্য ও দ্রুততর হবে।
একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে আরও ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা যাবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বুধবার পটুয়াখালীর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী জানান, মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ক্যাবলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপরই শুরু হবে বাণিজ্যিক এ কার্যক্রম।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। তবে তখন ঢাকা থেকে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনের ট্রান্সমিশন লিংক সম্পূর্ণ না হওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য চালু করা যায়নি।
তবে এখন এ সংযোগ স্থাপিত হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষা করে এ সংযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুর, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইন্টারনেট সেবা আরও স্বল্পমূল্যে দেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
নতুন ক্যাবলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তারানা। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভুটান, নেপাল, ভারতের সেভেন সিস্টারসহ মালয়েশিয়া, মিয়ানমারে রপ্তানির চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও দেশের অভ্যন্তরে ক্যাবল স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়ায় তা চলতি বছরে গড়িয়ে যায়।
বুধবার প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমডি জানান, এ সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইডথের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর ফলে ইন্টারনেটের দাম আরও কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইটের (জিবি) বেশি ব্যান্ডউইডথ পাচ্ছে।
নতুন এ সাবমেরিন ক্যাবলের মেয়াদকাল ২০ থেকে ২৫ বছর। প্রকল্পে সব মিলে খরচ হয়েছে মোট ৬০০ কোটি টাকা।
এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-ইউ-৪’ এ যুক্ত হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
Like this:
Like Loading...