চাঁদপুরের কচুয়ার আভ্যন্তরীন রাস্তাগুলোর পিচ, ইট, সুরকি উঠেগিয়ে এখন মাটির রাস্তায় পরিনত হয়ে বড়বড় গর্তে পুকুরে পরিনত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে না কোন যানবাহনতো চলাচল দুরের কথা পায়ে হেটে চলাচল করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা মানুষের এখন মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে। চাঁদপুর ও কচুয়া এলজিইডি অফিসের অসাধূ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ঢালাও দূর্নীতির কারনে কচুয়ার জনপদ এখন অবহেলায় অবহেলিত হয়ে পড়েছে। জনগণ বছরের পর বছর ভোগান্তি পোহাচ্ছে। অপর দিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি এবং সরকারেরও দূর্নাম হচ্ছে চরমভাবে।
কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, এলজিইডির আওতাধীন পাথৈর হাসপাতাল থেকে হরিপুর হয়ে মাঝিগাছা কোটেরপাড় পর্যন্ত রাস্তা। মাঝিগাছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উত্তরশিবপুর পর্যন্ত, টেগুরিয়া চাংপুর হতে যোগীচাপর পর্যন্ত রাস্তা, বারৈয়ারা-আটমোর-মধূপুর রাস্তা, পালাখাল-নন্দপুর-আলীয়ারা বাজার রাস্তা, রাগদৈল মোড় থেকে রাগদৈল আলিম মাদ্রাসা হয়ে বজুরীখোলা রাস্তা এবং সড়কও জনপথের সাচার-পাথৈর-বড়দৈল রাস্তার ইট, সুরকী, পাথর, পিছ ওঠে গিয়ে মাটির রাস্তায় পরিনত হয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এসব রাস্তার গর্তে বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে গর্ত দিয়ে গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা মানুষ হেটে যাবে এমন জায়গাটি পর্যন্ত খুজে পায়না। এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীর কেউ অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।2
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কচুয়ার রাস্তার বেহাল দশার জন্য খোদ দায়ী চাঁদপুর ও কচুয়ার এলজিইডি প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীগণ। তারা এসব রাস্তা মেরামতের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় জনগনের এ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অপরদিকে রাস্তায় কাজের টেন্ডার হওয়ার পর কর্মরত ঠিকাদার’রা জেলা ও উপজেলা প্রকৌশলীদের সাথে মোটা অংকের অর্থের আতাত করে রাস্তায় সিডিউল বর্হিভূত যত প্রকার পচা ইট ও ২নম্বর কাজ করে থাকেন। যার ফলে রাস্তায় কাজ করার ১ সপ্তাহ পর থেকেই রাস্তা ভাংগা শুরু হয়, আর এ ভাংগা রাস্তা দিয়ে জনগণের ভোগান্তি চলতে থাকে বছরের পর বছর। রাস্তাগুলো মেরামতের যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন ও সঠিক সিডিউলমত কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগী জনগন।