কর্মক্ষেত্রে ফেইসবুক ব্যবহারে সুবিধা বেশি
বসেরা শুনে রাখুন, আপনি যদি আপনার কোনো কর্মীকে কর্মঘণ্টায় ফেইসবুকে খুঁজে পান তবে মনে রাখবেন তিনি তখন একটা বিরতি নিচ্ছেন। কাজের ক্ষেত্রে তখনকার দুর্বলতাগুলো বা একঘেঁয়েমি কাটাচ্ছেন। আর এটি করছেন পরের দিকে কাজগুলো যুতসই করতে।
সম্প্রতি নতুন একটি জরিপে এমন তথ্যই তুলে এনেছে আমেরিকান একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
এই জরিপটিতে বলা হয়েছে, কাজের সময় কর্মীরা বিভিন্ন কারণে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন। যার মধ্যে একটি প্রধান বা সাধারণ বিষয় হলো মানসিক বিরতি নেওয়া।
জরিপে অংশ নেওয়া ৩৪ শতাংশ বলছেন যে, কাজের পরিবেশ থেকে একটু মানসিক বিরতি নিতেই ফেইসবুক ব্যবহার করেন তারা।
পিউ রিসার্চ সেন্টার যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার তিনজন প্রাপ্ত বয়স্কদের ওপর এই জরিপ করেছে।
জরিপটি বলছে, এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম কর্মীদের দক্ষতার পাশপাশি উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি করে। এর মধ্য দিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে তো বটেই, একটা বৈশ্বিক যোগাযোগ করতেও সমর্থ্য হয়।
একই সময়ে ফেইসবুকের কিছু ভিন্ন টুল এবং বেশকিছু জনবহুল স্থানে বিশেষ করে মিটিংয়ে এর ব্যবহার আবার মারাত্মকভাবে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে বলেও বলছে ওই জরিপ।
কাজের সময় ২৭ শতাংশ তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজটি করে। আর ২৪ শতাংশ পেশাগত যোগাযোগ রক্ষার জন্য ফেইসবুক ব্যবহার করে থাকে বলেও বলছে জরিপটি।
১৪ শতাংশ আছে যারা কর্মক্ষেত্রে নিজেদেরকে সহকর্মীদের চেয়ে এগিয়ে রাখতে ফেইসবুক ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য নেয়। তবে তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ কর্মীরাই অনেক বেশি এগিয়ে বলে স্টাডিটি দেখাচ্ছে।
কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অন্য সহকর্মীদের কাজ থেকে এগিয়ে রাখতে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ এর মধ্যে তারা তাদের মধ্যে ২৩ শতাংশ ব্যক্তি ফেইসবুক ব্যবহার করে থাকে।
তবে এমনও আছে যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার সময় বলেই দেয় তাদের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকতে হবে। এর জন্য নীতিমালাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর।
পূর্ণ ও খণ্ডকালীন কাজ করা এমন ব্যক্তির অর্ধেক বা ৫১ শতাংশ বলেছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। ৪৫ শতাংশের ফেইসবুক ব্যবহারের কোনো নীতিমালা নাই।
তবে ৩২ শতাংশ বলেছে তাদের প্রতিষ্ঠান কাজের সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়।
গবেষণায় উঠে এসেছে, ৫৬ শতাংশ কর্মী মনে করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের কাজে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তবে ২২ শতিাংশ মনে করে তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটে, ১৬ শতাংশ মনে করে এটি তাদের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারে না। আর চার শতাংশ মনে করে তারা কখনো লাভবান আবার কখনোবা এর দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হন।
তবে এদের মধ্যে ১৭ শতাংশ বলছেন তারা কাজের জন্য খুবই ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আর ২৫ শতাংশ বলছেন তারা ইন্টারনেটের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল নয়।
Like this:
Like Loading...