ভারতের ‘টাটা’ শিল্পগোষ্ঠীর মতো বাংলাদেশের টাটা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে দেশের শীর্ষস্থানীয় চারটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। বাংলাদেশের ইতিহাসে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি ‘বেসিক ইস্পাত কারখানা’ স্থাপনের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে চান চট্টগ্রামের চার শিল্পপতি।
তাঁরা হলেন_কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও এবিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আলী চৌধুরী। এ চারটি শিল্প গ্রুপের রয়েছে ঢেউটিন, সিমেন্ট, সয়াবিন, চিনি, গার্মেন্ট ও কাচ কারখানা, শিপইয়ার্ড, হ্যাচারি, পরিবহন, শিক্ষা, কৃষি, ব্যাংক, আবাসন প্রকল্পের ব্যবসা। যেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি, কর্মরত কর্মচারীর সংখ্যা ৩০ হাজার।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে ডাঙ্গার চরে ৭০ একর জায়গায় নির্মিত হচ্ছে ‘কেপস (বিডি) লিমিটেড’ নামের বৃহৎ এ শিল্পকারখানা। গত বছরের জুলাইয়ে জয়েন্ট স্টক কম্পানিতে এর নিবন্ধন করা হয়। মোট বিনিয়োগের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৮৪০ কোটি টাকার জোগান দেবে উদ্যোক্তা চারটি গ্রুপ। বাকি ৭০ শতাংশ অর্থাৎ এক হাজার ৯৬০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হবে সিন্ডিকেশন ঋণের মাধ্যমে, যার নেতৃত্বে থাকবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এতে কর্মসংস্থান হবে তিন হাজার দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীর। ২০১৩ সালের মধ্যে উৎপাদনে যাবে এই প্রকল্প।
এ প্রসঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ভারতের বিখ্যাত টাটা গ্রুপ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এ ধরনের শিল্প স্থাপনের চেষ্টা করেছিল। তারা পারেনি, আমরা বাংলাদেশের টাটা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি। এ জন্য সরকার ও গণমাধ্যমের সমর্থন দরকার।’ পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে স্বল্প ব্যয়ে স্বপ্নের ঘর বানানোর সুযোগ পাবে এ দেশের মানুষ। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন দেশের প্রকৌশলীরা। সরকার পাবে বিপুল পরিমাণ ট্যাক্স ও ভ্যাট। প্রতিবছর সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।’
চারটি শিল্প গ্রুপের ইংরেজি প্রথম অক্ষর নিয়েই কেপস (KAPS) গঠন করা হয়। কেডিএসের ‘কে’, এবিসির ‘এ’, পিএইচপির ‘পি’ ও এস আলমের ‘এস’। প্রতিটি শিল্প গ্রুপ থেকে দুজন করে মোট আটজন নিয়ে গঠন করা হয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। কেপসের পরিচালক ও এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু জানান, প্রতিবছর ছয় লাখ টন সিআর কয়েল ও দুই লাখ টন বিভিন্ন ধরনের লোহার সামগ্রী আমদানি হয় দেশে। গড়ে প্রতি টনের দাম ৮০০ ডলার হিসাবে আট লাখ টনের জন্য বাংলাদেশি টাকায় তিন হাজার ৩৩২ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যায়। নতুন এ ইস্পাত কারখানা চালু হলে প্রতিবছর দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এক হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। কারণ নতুন কারখানার জন্য যেসব কাঁচামাল আমদানি করতে হয় সেগুলোর প্রতি টনের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ২৫০ ডলার।
শিল্পোদ্যোক্তারা আরো জানান, এ কারখানায় ঢেউটিন তৈরির কাঁচামাল সিআর কয়েল, বিপি শিট, সেতু ও কালভার্ট তৈরির ইস্পাতের পাত ও বিভিন্ন ধরনের লৌহজাত সামগ্রী তৈরি করা হবে। এ কারখানায় উৎপাদন শুরু হলে ঢেউটিনসহ বিভিন্ন লৌহজাত নির্মাণ সামগ্রীর দাম অনেক কমে যাবে। এসব কাঁচামাল দেশের বিভিন্ন কারখানায় যেমন ব্যবহৃত হবে, তেমনি বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দুই লাখ সিআর কয়েলের চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা মেটাতে কাঁচামাল আনতে হয় মুম্বাই থেকে, যা ব্যয়বহুল। অথচ বাংলাদেশ থেকে স্বল্প সময় ও কম দামে কাঁচামাল পেয়ে যাবেন ত্রিপুরা রাজ্যের কারখানা মালিকরা। ইতিমধ্যে তাঁরা বাংলাদেশের নতুন কারখানা মালিকদের কাছে নিজেদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন।
নতুন এ শিল্পকারখানার পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে ভারতের প্রতিষ্ঠান ইসপিক। কারখানার মেশিনারি সরবরাহ করবে ইতালির কম্পানি ডেনিয়াল।
# | Cases | Deaths | Recovered |
---|---|---|---|
World | 0 | 0 | 0 |
Bangladesh | 0 | 0 | 0 |
Data Source: worldometers.info |
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য খবরের শিরোনামে রয়েছে চিন। এই দেশেরই এক শহরে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, ...
বিস্তারিতলক ডাউনের মধ্যে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভিডিও কল। আর সেই কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ...
বিস্তারিতনিউইয়র্ক: কান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল প্রায় ২ কিলোমিটার ...
বিস্তারিতবিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত আর্থিক প্রতারণা বাড়ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ ...
বিস্তারিত