গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে অস্ত্রধারীদের হামলার পর ঠিক কতোজন সেখানে আটকা পড়েছেন তার নিশ্চিত সংখ্যা জানা না গেলেও উৎকণ্ঠা নিয়ে বেশ কয়েকজন স্বজন উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে।
ঢাকার কূটনীতিকপাড়ার এই ক্যাফেতে ২০ জনের মতো বিদেশি নাগরিকসহ ৪০ জনের মতো ‘জিম্মি’ আছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। বিদেশিদের মধ্যে ‘সাত ইতালীয় থাকার’ তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ‘জিম্মি’ কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এলিগেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবা আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অপেক্ষায় আছেন মেয়ে অবনিতা কবীরের (১৮) খোঁজে। দুই বান্ধবীকে নিয়ে অবনিতা এই ক্যাফেতে আছেন বলে জানান তারা।
বারবার মোবাইলে ফোন করে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও পারছেন না তারা। মোবাইলে রিং বেজে গেলেও কেউ ধরছে না।
ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের নাতি ফাইয়াজও (২১) ওই ক্যাফেতে আছেন বলে তার স্বজনরা জানান। ফাইয়াজের মা সিমিন হোসেন ওই এলাকায় রয়েছেন।
আফতাব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমীদের (২২) খোঁজ জানতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন তার স্বজনরা।
তারা জানান, তাহমীদ শুক্রবার কানাডা থেকে দেশে ফিরে ইফতার করে বন্ধুদের সঙ্গে ওই ক্যাফেতে যান। হলি আর্টিজান বেকারির কর্মচারী ইমাম হোসেন সবুজের অপেক্ষায় রয়েছেন তার বাবা আব্দুল খালেক।
খালেক বলেন, তিনিও ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পারেননি। “মোবাইল ফোনে রিং বেজে যাচ্ছে, কিন্তু অপর প্রাপ্ত থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।”