রাজশাহীর গোদাগাড়ীর হাবাসপুরের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পাঁচজনের লাশ পড়ে আছে। ঘটনাস্থল ঘুরে এসে আজ বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ীর পৌর মেয়র মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিবজুর আলম মুন্সি প্রথম আলোকে বলেন, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত একটা থেকে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সকাল সাড় সাতটার দিকে ভেতর থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এসে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ ঘটান।
ঘটনাস্থল থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি একরামুল হক বলেন, অভিযানে জঙ্গিদের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। অভিযানে পুলিশের দুই সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য আহত হন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আবদুল মতিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য শফিউল আজম।
আর তিন ঘণ্টা আস্তানার বাইরে বসে থাকার পর আত্মসমর্পণ করেছেন সুমাইয়া নামের এক নারী। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি আত্মসমর্পণ করেন বলে জানান রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা ও স্থানীয় পুলিশ মিলে এই অভিযান চালাচ্ছে।
এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন জঙ্গি বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত অপরজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আবদুল মতিন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।