জানুয়ারিতে চালু হবে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সংযোগ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে চালু হতে যাচ্ছে। সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হলে ইন্টারনেটে তাত্ক্ষণিকভাবে ২০০ জিবিপিএস সুবিধা পাওয়া যাবে, যা ১৫০০ জিবিপিএস পর্যন্ত সম্প্রসারণযোগ্য। ২০১৩ সালের শেষদিকে ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ।
নতুন এ সাবমেরিন কেবলটি চালু হলে দেশীয় টেলিকম কোমপানিগুলোকে বিদেশ থেকে ব্যান্ডউইডথ কিনতে হবে না। নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকবে।
কক্সবাজারের স্থাপিত প্রথম সাবমেরিন কেবল ওয়ানের তুলনায় প্রায় আট গুণ বেশি ক্ষমতাসমপন্ন এ সাবমেরিনটি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইডথ রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ বড় অংকের অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবে। বাড়বে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোমপানি লিমিটেড (বিএসসিসিএলের) মুনাফা।
এসইএ-এমই-ডব্লিউই ৫ প্রকল্প পরিচালক পারভেজ মনন আশরাফ জানান, এ বছরের শেষ দিকে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর জানুয়ারিতে ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে এর সংযোগ স্থাপন করবে বিএসসিসিএল। বিচ ম্যানহোল থেকে ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন করা হয়েছে। ১০ একর জমিতে সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটির অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সমুদ্র থেকে কেবল সংযোগের কাজ প্রায় সমপন্ন করেছে বিএসসিসিএল।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সাগরের নিচ দিয়ে ফ্রান্স থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা ও মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল স্থাপন করা হয়েছে। ইউরোপ থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আসা সঞ্চালন লাইন সংযুক্তির জন্য ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।