নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউজে আসার আগে থেকেই দেশটির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছুটা হলেও বিষোদগার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেসময় অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মী এমন কী সিলিকন ভ্যালির কর্মকর্তারাও আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিতে বাধ্য হয়েছিল।তবে নতুন খবর হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন প্রযুক্তি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বরফ গলাতে চাইছেন। সেজন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে হোয়াইট হাউজে একটি সম্মেলন আয়োজন করছেন।আগামী সোমবার সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করে গত মাসেই সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আমেরিকান টেকনোলজি কাউন্সিল হোয়াইট হাউজে বসতে যাচ্ছে।সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়া গ্রুপটি এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রাম সংস্কার নিয়ে কথা বলবেন। তবে ট্রাম্প অনেক আগেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর। ট্রাম্প বিষয়টিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সুযোগের অপব্যবহার করে অন্যদেশ থেকে স্বল্পমূল্যে শ্রমিক আমদানি করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন।এই কাউন্সিলের আরও একটি এজেন্ডা হচ্ছে, রাষ্ট্রের প্রযুক্তি অবকাঠামোর আধুনিকায়ন এবং সাইবার আক্রমণ থেকে কম্পিউটারগুলো কিভাবে রক্ষা করা যাবে।প্রশাসনিক এক কর্মকর্তা বলছেন, সম্মেলনে ১৮টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে তারা আসার প্রত্যাশা করছেন। যার মধ্যে রয়েছে, অ্যামাজন প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস, অ্যাপল সিইও টিম কুক, মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেলা, ফাউন্ডার ফান্ডস এর পিটার থিয়েল এবং গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের সহযোগী চেয়ারম্যান এরিক স্মিত।তবে গত মাসেই এই আয়োজন হওয়ার কথা ছিল যখন ট্রাম্প জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার ঘোষণা দেয় এবং চুক্তিতে সই করেননি সেসময়।তখন অবশ্য ফেইসবুক প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ, গুগল সিইও সুন্দর পিচাই, জেনারেল ইলেক্ট্রনিক সিইও জেফ ইমমেট, অ্যাপল সিইও টিম কুক এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছিলেন।তবে এমন সম্মেলন নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।অন্যরা গেলেও টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্ক সেখানে অংশ নেবেন না। কারণ তিনি প্যারিস জলবায়ু সিদ্ধান্তের পর এই অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করেন।উবার প্রধান নির্বাহী ত্রাভিস কালানিকও সম্মেলন যোগ দেবেন না বলে জানা গেছে।অন্য যারা যারা অংশ নেবেন বলে অনেকটা নিশ্চিত করেছেন তারা হলেন, মাস্টারকার্ড সিইও অজয় বঙ্গ, ওপেনগভ সিইও জাকারি বুকম্যান, ওরাকলের কো-চিফ এক্সিকিউটিভ সাফরা কার্টজ, ক্লাইনার পেরকিনস চেয়ারম্যান জন ডোরে, ভিএমওয়্যারের সিইও প্যাট গেলসিঙ্গার, প্ল্যানটির সিইও অ্যালেক্স ক্রাপ, ইন্টেল সিইও ব্রেইন কারজানিস, আকামাই সিইও টম লেইটন, স্যাপ সিইও বিল ম্যাকডারমোট, কোয়ালকম সিইও স্টিভেন মোলেনকফ, অ্যাডোবি সিইও সান্তনু নারায়ণ, আইবিএম সিইও গিন্নি রোমেট্টি এবং অ্যাকসেঞ্চার সিইও জুলিয়া সুইট।