টেলিনরের দৃষ্টিতে ২০১৯ সালের ৭ প্রযুক্তি
২০১৯ সালে পণ্য ও সেবা ব্যবহার, অভ্যস্ততা ও চিন্তার ধরন বদলে দেবে সাত প্রযুক্তি। টেলিনর রিসার্চের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল সোমবার রাজধানীর জিপি হাউসে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টেলিনর রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিয়র্ন হ্যানসেন।
এ বছরের উল্লেখযোগ্য ও সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টেলিনর গ্রুপের গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেলিনর রিসার্চ।
টেলিনরের বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৯ সালে ডিপফেক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফাইভজির প্রসার, আইওটি বা ইন্টারনেট অব থিংস, বাসায় ব্যবহারে ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটস ও সচেতনতামূলক বিষয় যেমন ডিজিটাল স্ক্রিনে থাকার সময়ের নিয়ন্ত্রণ ও মোবাইলচালিত গ্রিন টেকনোলজি নিয়ে কাজ হবে বেশি।
টেলিনর রিসার্চের গবেষণায় বলা হয়, উন্নত অ্যালগরিদম সহজেই জাল ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে পারবে এবং ডিপফেক কনটেন্টগুলো অত্যাধুনিক হবে। এতে ডিজিটাল বিশ্বের কোনটি আসল কিংবা কোনটি নকল, তা আলাদা করা কঠিন হয়ে যাবে। ২০১৯ সালে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, অপারেটর এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ডিপফেক কনটেন্ট হ্রাসে কাজ করবে এবং এ নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে গণসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।
ইতিমধ্যেই পুরো বিশ্ব ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে, কিন্তু ২০১৯ সালে এ প্রযুক্তির সম্ভাবনা পুরোপুরি উপলব্ধি করা যাবে। এ বছরেই বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে এবং এ–সংক্রান্ত বিভিন্ন বিপণন প্রচারণাও লক্ষ করা যাবে। স্বচালিত বাস থেকে অটোমেটেড ফিশারিজ, ডেটানির্ভর টিভি ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড থেকে ফাইভজি ক্ষমতাসম্পন্ন রিমোট সার্জারির সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশন দেখা যাবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে লো-পাওয়ার ওয়াইড-এরিয়া (এলপিডব্লিউএ) ইকোসিস্টেমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটির মাধ্যমে প্রোটোটাইপ থেকে বৃহৎ পর্যায়ে কমার্শিয়াল ডেপ্লয়মেন্ট (বাণিজ্যিক স্থাপনা) ঘটবে।
টেক্সটনির্ভর চ্যাটবটস, ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটসে রূপান্তরিত হবে। বাসার প্রতিদিনকার কাজের রুটিনগুলো অত্যন্ত সহজে ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটসনির্ভর স্মার্ট ভয়েস রিকগনিশনের নানা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে করে ফেলা যাবে। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটস ব্যাপক পরিসরে বাজারে চলে আসবে।
উচ্চ চাহিদার ফলে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও বিস্তৃতভাবে ডিজিটালকরণের জন্য ডিজিটাল স্ক্রিন টাইম সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়টি সামনে চলে আসবে। ২০১৯ সালে স্ক্রিন টাইম নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্জ্য হ্রাস ও বিশ্বজুড়ে মানুষের জন্য পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তোলায় বিশ্বাসী ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছে মোবাইলচালিত গ্রিন টেকনোলজি। ২০১৭-১৮ সালে কম খাবার নষ্ট করা, রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, সাইকেল দিয়ে খাবার ডেলিভারি সেবা এবং ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে এ–সংক্রান্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ লক্ষ করা গেছে। পরিবেশবান্ধব আরও বেশি নীতিমালা ও নতুন উদ্যোগের বিস্তৃতি ঘটবে।
Like this:
Like Loading...