মনিটর
ঈদের ছুটির চেকলিস্টে মুভি দেখাটা থাকেই। টিভির তুলনায় এখন কম্পিউটার মনিটরে সিনেমা দেখা হয় বেশি।
মনিটর ঠিকঠাক রাখতে যত্ন নিতে হবে। ময়লা বা ধুলাবালি জমলে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মনিটর পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে নরম কাপড় বা সুতির গামছা ব্যবহার করা ভালো। নরম টিস্যুও কার্যকর। বাজারে মনিটর পরিষ্কারের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিকুইড ক্লিনার পাওয়া যায়। তুলা বা পরিষ্কার নরম সুতি কাপড়ে কয়েক ফোঁটা ক্লিনার নিয়ে মনিটর মুছে ফেলুন। কোনোভাবেই ভেজা কাগজ বা স্যাঁতসেঁতে কাপড় ব্যবহার করা যাবে না।
মনিটর স্ক্রিনে অনেক সময় ময়লা জমে শক্ত হয়ে লেগে যায়। হাতের নখ বা শক্ত কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে এসব ময়লা পরিষ্কার করবেন না। বদলে ভেজা নরম সুতি কাপড় দিয়ে আলতোভাবে ডলে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বাজারে এখন এলইডি ফ্ল্যাটস্ক্রিন মনিটর বেশি হলেও অনেকের বাসায় পুরনো সিআরটি মনিটর আছে। এ মনিটরের স্ক্রিন কাচের। রেশম, ভেলভেট বা ভেজা কাপড় দিয়ে কাচের স্ক্রিন পরিষ্কার করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে নরম সুতি কাপড় ব্যবহার করুন। অনেক সময় কম্পিউটারের ছবি বা ভিডিও মনিটর ঠিকভাবে দেখায় না। মনিটরের ভিজিএ বা এইচডিএমআই কেবল পরিবর্তন করে নিলে সমস্যাটা থাকবে না। বাজারে এ ধরনের কেবলের দাম সাধারণত ৪০০ টাকা থেকে শুরু হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা দেখা দিলে কম্পিউটার সার্ভিস দোকানগুলো মনিটরও সারাই করে। আইডিবি ভবন ও এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে বেশ কিছু সার্ভিস সেন্টার রয়েছে।
স্পিকার
দেশের স্পিকার বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মাল্টিমিডিয়া কিংডমের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ধুলাবালি পরিষ্কার করলেই স্পিকারের শব্দের মান অনেক বেড়ে যায়। অডিও কেবলও অনেক সময় সমস্যার কারণ হয়। বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় ৩.৫ এমএম অডিওর নতুন কেবল পাওয়া যায়। এগুলো বদলে নিয়েও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে সার্ভিস সেন্টারে নিতে হবে। সাধারণত কম্পিউটার মার্কেটেই স্পিকার সারাই করা যায়।
অনেকেই স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট দিয়ে মিউজিক শুনে থাকে। চাইলে সাধারণ স্পিকারকে ব্লুটুথে পরিণত করে নেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে লাগবে ব্লুটুথ অডিও মিউজিক রিসিভার। বাংলাদেশের বাজারে লজিটেক ব্র্যান্ডের ব্লুটুথ অডিও রিসিভার পাওয়া যায় তিন হাজার টাকায়।
প্রিন্টার
সাদা বা রঙিন কাগজে হাতে চাঁদের ছবি এঁকে পাশে ‘ঈদ মোবারক’ লিখে দরজায় লাগিয়ে রাখার চল ছিল একসময়। এখন অনেক বাসায় প্রিন্টার রয়েছে। হাতে না লিখে নেট থেকে মনের মতো ছবি নামিয়ে সফটওয়্যারে ডিজাইন করে ঈদ কার্ডও তৈরি করেন অনেকে। বাসার প্রিন্টার অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহার হয় বলে নষ্টও হয় দ্রুত। প্রিন্টারের প্রধান ঝামেলা এর হেড নিয়ে। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করলে হেডের নজেলে কালি জমে ছাপাগুলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। তাই পুরনো প্রিন্টারে ভালো সুবিধা পেতে নরম সুতির কাপড় সামান্য পানিতে ভিজিয়ে হেড পরিষ্কার করে নিতে হবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে কাপড় দিয়ে প্রিন্টার ঢেকে রাখা উচিত। যেখানে প্রিন্টার রাখা হবে তার চারপাশে কিছুটা খালি জায়গা থাকা ভালো। এতে প্রিন্টারের তাপ নিষ্কাশন সহজ হবে। বেশি দিন টিকবে।
কম্পিউটার
ধুলাবালি জমে কম্পিউটার অকার্যকরও হয়ে যেতে পারে। তাই সপ্তাহান্তে অন্তত একবার কম্পিউটারের সিপিইউর কেসিং খুলে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে ভেজা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। সবচেয়ে ভালো ব্লোয়ার। এতে দ্রুত ও কম ঝামেলায় সিপিইউ পরিষ্কার করা যাবে। বাজারে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে ব্লোয়াল পাওয়া যায়।
অনেকে কেসিং খুলতে ভয় পান। এটি বেশ সহজ কাজ। সাধারণত কেসিংয়ের পেছনে চারটি স্ক্রু থাকে। কেসিং খোলার আগে পাওয়ার সাপ্লাই অফ করুন। মাদারবোর্ডের পেছন থেকে সব প্লাগ খুলে ফেলুন। সামনে থেকে কেসিংটাকে দেখলে এর বাঁ পাশের অংশটি খুলতে হয়। এর পেছনে স্ক্রু দুটি খুলতে ভালো চারকোনা স্ক্রু ড্রাইভার লাগবে। খোলা স্ক্রু সযত্নে রাখুন। স্ক্রু খোলা হয়ে গেলে কেসিংয়ের পাশ থেকে কাভারটি আলাদা করে নিন। সাধারণত কাভারটি পেছন দিকে কিছুটা স্লাইড করে খুলতে হয়।
ক্যামেরা
ঈদে প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে কাটানো সময় ক্যামেরায় বন্দি করে রাখবেন অনেকে। নতুন কিনতে না পারলেও পুরনোটি কাজে লাগবে। তবে ক্যামেরাটিতে কোনো ত্রুটি থাকলে তা সারিয়ে নিতে হবে। ক্যামেরাটি ঠিকভাবে ধুলাবালি পরিষ্কার করে নিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে? স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে ক্যামেরা ও লেন্সের ভেতর ছত্রাক বা ফাঙ্গাস পড়তে পারে। ফাঙ্গাস বেশি পড়লে ছবিতে আলো-ছায়ার বৈপরীত্য বা কন্ট্রাস্ট ঠিক থাকে না। ছবির সঠিক রং পাওয়া যায় না। লেন্সে ছত্রাক পড়ে গেলে তা পরিষ্কার করাতে হবে ভালো কোনো সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে। ফটোগ্রাফিবিষয়ক বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান কাউন্টার ফটো প্রশিক্ষক সোহান রাহাত জানান, পুরনো ক্যামেরা নতুন করতে ধুলাবালি পরিষ্কার করে নিতে হবে। এ ছাড়া চাইলে ভালো লেন্স না থাকলে একটি নতুন লেন্স কিনে নেওয়া যায়। ঈদের আগে পুরনো ক্যামেরাটিকে একবার সার্ভিসিং করিয়ে নিলে ভালো।
ডিজিটাল ক্যামেরার বড় শত্রু পানি। ক্যামেরার ভেতরে পানি ঢুকলে এর মাদারবোর্ডে মরিচা পড়ে। পানি ঢোকামাত্র শুকনো কাপড় বা টিস্যু পেপার দিয়ে মোছা উচিত। আইক্যাপ আর ফিতা লাগানোর জায়গা দিয়ে সাধারণত ক্যামেরার ভেতর পানি ঢোকে। এ অবস্থায় ক্যামেরার সুইচ অন থাকলে শর্টসার্কিট হতে পারে। তাই সুইচ অফ করে ক্যামেরা হালকা রোদে শুকাতে হবে। এ ছাড়া ক্যামেরা যেহেতু ব্যাটারিচালিত যন্ত্র, তাই পানি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারি খুলে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ।
ঢাকার নিউ মার্কেটের খোকন ক্যামেরা কেয়ারের প্রধান নির্বাহী অনুমপ সিংহ জানান, ফাঙ্গাস বা ক্যামেরা সার্ভিস মূলত নির্ভর করে লেন্সের মডেল বা ক্যামেরার মডেলের ওপর। ৫০০ থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা মধ্যে ক্যামেরা সার্ভিসিং করা হয়। সার্ভিসিংয়ের জন্য নিউ মার্কেটের খোকন ইলেকট্রিনকস ছাড়াও পুরানা পল্টনে দারুস সালাম মার্কেটের বিদ্যুৎ ক্যামেরা ঘরে যেতে পারেন।
ল্যাপটপ
অনেক সময় ল্যাপটপের কিবোর্ডের কি নষ্ট হয়ে যায়। ল্যাপটপের একটি কি নষ্ট হলে সম্পূর্ণ কিবোর্ডটিই নতুন করে লাগিয়ে নিতে হয়। ল্যাপটপের ভেতরে ধুলাবালি জমে কুলিং সিস্টেমে সমস্যা হতে পারে। ল্যাপটপ দ্রুত গরম হয়ে যেতে পারে। ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতো ল্যাপটপ খুলে পরিষ্কার করা সহজ নয়। তাই সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া ভালো। এর জন্য হ্যান্ডিমামা ডটকোতে (https://handzmama.co/) ঢু মারতে পারেন। প্রতিষ্ঠানপ্রধান নির্বাহী শাহ পরান জানান, হ্যান্ডিমামাকে জানালে দক্ষ ল্যাপটপ টেকনিশিয়ান বাসায় গিয়ে তা মেরামত করে দিয়ে আসবে। সার্ভিসিং চার্জ ৫০০ টাকা থেকে শুরু।
এ ছাড়া আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবন কিংবা এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটিতে অনেক ল্যাপটপ সার্ভিস সেন্টার রয়েছে।
টিভি
ঈদে নানা অনুষ্ঠান থাকে টেলিভিশনে। তাই টিভি ঝকঝকে থাকা চাই। টিভি স্ক্রিন পরিষ্কার করতে নরম কাপড় বা সুতির গামছা ব্যবহার করা ভালো। টিভির রিমোট দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে ময়লা পড়তে পারে, বিশেষ করে রিমোটের বাটনগুলোর ময়লা বেশি দেখা যায়। কটন বাড পানি দিয়ে বাটনগুলোর ফাঁকে ঢুকিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ধুলাবালির হাত থেকে রিমোট রক্ষা করতে বাজারে অনেক কাভার পাওয়া যায়, তা কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
মাউস ও কিবোর্ড
বর্তমান সময়ের বেশির ভাগ মাউস অপটিক্যাল লেন্স সুবিধাযুক্ত। আলো প্রতিফলিত হয়ে এটা কাজ করে; তাই মাউসের লেন্স যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলে মাউস ঠিকভাবে কাজ না-ও করতে পারে। তাই পুরনো মাউসটিতে যদি সত্যি সত্যি ধুলাবালি জমা হয়ে থাকে তাহলে কম্পিউটার থেকে খুলে নিয়ে সেটা উল্টো করে লেন্সটির আশপাশে যেখানে ময়লা জমেছে তা কটন বাড দিয়ে পরিষ্কার করে নরম সুতি কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। এরপর যদি বাটন বা হুইল ঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে সাবধানে মাউসটির স্ক্রুগুলো খুলতে হবে। তারপর হুইল ও বাটনের অংশগুলো সুতি কাপড় দিয়ে খুব সাবধানতার সঙ্গে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পুরনো মাউস-কিবোর্ড চকচকে করতে সবশেষ ক্লিনার দিয়ে পুরো মাউসটি মুছে নেওয়া যায়।
# | Cases | Deaths | Recovered |
---|---|---|---|
World | 0 | 0 | 0 |
Bangladesh | 0 | 0 | 0 |
Data Source: worldometers.info |
সানি সানওয়ার কাজ করেন নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ নিয়ে। স্বপ্ন দেখেন কার্বন নিঃসরণমুক্ত বিদ্যুৎ–ব্যবস্থার। ...
বিস্তারিতধরুন আপনার অসাধারণ কিছু প্রোডাক্ট আছে। খুব সুন্দর করে কন্টেন্ট তৈরী করে নিজের ওয়েবসাইট সাজিয়েছেন। পণ্যের ছবি ...
বিস্তারিতআজকে যে বিষয়টা দিয়ে আলোচনা শুরু করতে চাই, সেই ধারণাটার জন্ম স্ট্রিং তত্ত্ব থেকে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এর ...
বিস্তারিতফেসবুক ব্যবহারের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি প্রায় সবাই জানেন। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যের ...
বিস্তারিত