গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জিম্মি উদ্ধারে অভিযান শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে পুরো পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভেতরে পাঁচজন মারা গেছে। ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ও উদ্ধার করা ব্যক্তিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর উদ্ধার অভিযান শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই ৫ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল। এর পর বাকিদের উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর শুরু হওয়া অভিযানে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় ভেতরে থাকা জঙ্গিরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে লক্ষ্যে করে কয়েকটি গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর আপাতত গোলাগুলি শব্দ বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত, জঙ্গি দমন সংক্রান্ত বিশেষ টিম, বিজিবি সদস্যরা ভেতরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে আশপাশ ঘিরে রেখেছে।
ঘটনাস্থলের সাংবাদিকরা জানান, সাড়ে ৭টার পরপর সোয়াতের একটি দল একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে ওই রেস্তোরাঁ দিকে এগোতে থাকে। এর পর পর কয়েক দিক থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সমন্বিত অভিযান শুরু করে।