ফেইসবুকের সঙ্গে চলতি মাসে আবারও বৈঠক করবেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে সহায়তা চাওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কোনাে বিষয়ে জানতে চাইলে বা কোনো কনটেন্ট নিয়ে আপত্তি তুললে ৪৮ ঘন্টা সময় নেয় ফেইসবুক। সংকটকালে এটি খুবই দীর্ঘ সময়। তাই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরা হবে সোশ্যাল মিডিয়াটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের।
তারানা বলেন, তাদের বোঝানো হবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেইসুবকের নিয়ম-কানুন ও নীতিমালা ভিন্ন। এ কারণে কোনো বিষয়ে সাড়া দিতে দেরি হলে অনেক বড় ঘটনা ঘটতে পারে। এ জন্য এখানকার আইন-কানুন ও নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আলাদা ডেস্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
মঙ্গলবার রাজধানীতে হোটেল লা মেরিডিয়ানে প্রতিমন্ত্রী সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে দু’দিনের এক কর্মশালার উদ্বোধনের পর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ডেস্ক থেকে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা পাওয়া যায় সে জন্য বৈঠকে ফেইসবুকের কর্মকর্তাদের বোঝানো হবে।
বিটিআরসি ও সিটিও ফোরাম আয়োজিত এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ এখন সবকিছুতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা মোকাবেলা করতে হবে সবাই মিলে। জাতি হিসেবে সম্মিলিত প্রতিরোধের পাশাপাশি আঞ্চলিক জোটগত ও বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ও সিটিও ফোরামের মহাসচিব সোলা টেইলর উপস্থিত ছিলেন।