বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার আলোচনা এগিয়ে নিতে চলতি আগস্ট মাসেই ভুটানের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি (বিএসসিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ভুটানের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ হয়েছে। তারা যত দ্রুত সম্ভব ব্যন্ডউইথ নেওয়ার ব্যপারে আগ্রহী। চলতি মাসেই ভুটানের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে।
ভুটানের আগ্রহের কারণে এ বিষয়ে সরকার একটি ফোকাল পয়েন্টও নির্ধারণ করেছে যার প্রধান হচ্ছেন মনোয়ার হোসেন।
মনোয়ার জানান, ভারতের দিক থেকে যেহেতু ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে সে কারণে বাংলাদেশও আগ্রহী। কারণ ভারতের ভূখন্ড ব্যবহার ছাড়া ভুটানে ব্যন্ডউইথ রপ্তানি করা যাবে না।
বাংলাদেশ গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের ত্রিপুরায় ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করছে। সেখান থেকে মাসে বিএসসিসিএলের এক লাখ ডলার আয় হচ্ছে।
ভুটানকে ব্যান্ডউইথ দেওয়া গেলেও সেখান থেকে আরও কয়েক লাখ ডলার আয় হবে বলে মনে করছেন মনোয়ার।
বর্তমানে বিএসসিসিএল-এর ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের ক্ষমতার একটি সাবমেরিন কেবল সংযোগ রয়েছে। যার মধ্যে ১৩০ জিবিপিএস ব্যবহার হচ্ছে।
তবে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে বিএসসিসিএল আরও ১৩০০ জিবিপিএস ক্ষমতার দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সংযোগ পেতে যাচ্ছে। তখন অনেক অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ খেকে যাবে বিএসসিসিএলের হাতে। তাই আগে থেকেই রপ্তানির আয়োজন করে রাখছে বিএসসিসিএল।
ভুটানের পর নেপালেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানিতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।