এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হারিকেন ঝড় হিসেবে খ্যাত ম্যাথিউ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে দুর্বল হওয়ার আগেই প্রচন্ড বাতাস আর বৃষ্টিপাতে কয়েকটি রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। চারজন মারা গেছেন। অনেক ঘর-বাড়ি পানিতে অর্ধেক ডুবে গেছে। লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ম্যাথিউর হানায় হাইতিতে মৃতের সংখ্যা ৯শ’ ছাড়িয়েছে। খবর রয়টার্সের
বন্যায় ফ্লোরিডার বিভিন্ন এলাকা ডুবে গেছে। গতকাল এই ঝড় জর্জিয়া এবং সাউথ ক্যারোলিনায় আঘাত হানে। তবে বাতাসের গতিবেগ কমে ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটারে নেমে আসে। ফ্লোরিডায় অন্তত ৪ জন মারা গেছেন। কয়েকটি রাজ্যে ১৫ লাখ ঘর-বাড়ি আর ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফ্লোরিডায় এখনো পৌন আট লাখের মতো ঘর-বাড়ি বিদ্যুত্ বিচ্ছিন্ন। সাউথ ক্যারোলিনার গভর্ণর নিক্কি হ্যালি জানিয়েছেন, বিদুত্ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সাড়ে চার লাখের মতো ঘর-বাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জর্জিয়ার বিদ্যুত্ বিভাগ জানিয়েছে, পৌনে দুই লাখ ঘর-বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই। রাস্তা-ঘাটে গাছ উপড়ে পড়েছে। গাড়ি নিয়ে অনেকে আটকা পড়েছেন। অনেক রাস্তা ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন গাড়ি চালকরা। সাউথ ক্যারোলিনার চার্লসটনের অনেক এলাকার ঘর-বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। ওই এলাকার বাসিন্দা রোগার পিনকেনি (৭০) বলেছেন, এটা যেন একটা নরক। সবই হারিয়েছি। জুয়ো কুয়ার্তাস বলেন, আমরা আমাদের ঘরটাকে রক্ষা করতে পেরেছি। কারণ আমরা আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। গত মঙ্গলবার হাইতিতে ম্যাথিউর হানায় মৃত্যের সংখ্যা ৯শ’ ছাড়িয়েছে। ঘন্টায় ২৩৩ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে।