ফেসবুক শুধু যোগাযোগের জন্য কিংবা দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় পরস্পরের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সেবা দিচ্ছে না, বরং জীবন বাঁচানোর সেবাও তৈরি করেছে।
বিশ্বজুড়ে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে ফেসবুক তাদের আত্মহত্যা প্রতিরোধী সেবা (সুইসাইড প্রিভেনশন টুল) হালনাগাদ করেছে। এই সেবা এখন সব ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্যই উন্মুক্ত করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টুল বা সফটওয়্যারটি তৈরি করতে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে—এমন বেশ কয়েকটি সংস্থায় সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আত্মঘাতী হওয়ার পথ থেকে ফিরে আসা মানুষের অভিজ্ঞতার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। সেভ ডট ওআরজি, ফোরফ্রন্ট ও লাইফলাইনের মতো সংস্থার সাহায্য নিয়ে এটি প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে চালু করা হয়েছিল।
ফেসবুকের গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষক অ্যান্টিগোন ডেভিস বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে নিজের জন্য আঘাত ডেকে আনা ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে আমাদের যে সুবিধা আছে, তা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারকে সমর্থন দিয়ে যাব।’
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের যে টিম আছে, তা ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে তৈরি। এ সেবার মাধ্যমে যে তথ্য আসে, তা ওই টিম পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কাছের বন্ধুকে জানানোসহ জটিল মানসিক সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এ টুল সাহায্য করতে পারে।
সুইসাইড প্রিভেনশন টিমের সদস্যরা রীতিমতো জটিল সমস্যা নিয়ে কাজ করেন। যাঁরা নিজেদের ক্ষতি করেন, নিজেদের আঘাত দেন, তাঁদের সুপরামর্শ দিয়ে সাহায্য ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ফেসবুক।
ফেসবুকের কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, তাঁদের কাজ মানুষকে নিরাপদভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করা। যাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের পরামর্শ হচ্ছে যেকোনো রকম আত্মহত্যাসংক্রান্ত সমস্যা হলেই যেন এই টুলসের সাহায্য নেওয়া হয়।