রাশিয়ায় বড় সাইবার হামলা
রাশিয়ায় বড় ধরনের সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এক সঙ্গে ২০টি সরকারি সংস্থায় আক্রমণ চালিয়ে তথ্য চুরি করা হয়েছে।
পেশাদার হ্যাকাররা সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ও প্রতিরক্ষা কোম্পানিসহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত করে। তারা এসব প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে ‘সাইবার স্পায়িং ভাইরাসের’ মতো ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন চালু করে। এরপর বিভিন্ন ডকুমেন্টের স্ক্রিনশট নেয় এবং কি বোর্ডের মাধ্যমে যেসব শব্দ টাইপ করা হয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করে।
যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণায় সাইবার আক্রমণের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটলো। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে দায়ি করেছে।
তবে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) এটিকে পেশাদার সাইবার আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করলেও কাউকে দায়ি করেনি। তাদের ইঙ্গিত, সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের সূত্র ধরেই এ হামলা হয়েছে।
রাশিয়া সরকার যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এটিকে রাশিয়া বিরোধী প্রচারণা বলে আভিহিত করেছে।
গত সপ্তাহে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবিলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারির ই-মেইল হ্যাক করতে রাশিয়ান হ্যাকারদের আহবান জানায়।
এরপর ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি) ডেমোক্রেটিক কংগ্রেশনাল কমিটির কার্যক্রম হ্যাকারদের হামলার মুখে পড়ে। পরে উইকিলিক্স ডিএনসির ই-মেইলগুলো প্রচার করে।
এসব ই-মেইলে দেখা যায়, হিলারি মনোনয়ন দৌড়ে স্যান্ডার্স বার্নিকে হারানোর জন্য পার্টির কর্মকর্তারা পক্ষপাতমূলক কাজ করেছিলেন।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস রাশিয়ান এজেন্টরা এ হামলা চালিয়েছিল। তবে ক্রেমলিন বরাবরের মতো তা অস্বীকার করে। হিলারির প্রতিপক্ষ ট্রাম্প বলেন, তার ও রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আঁতাত নেই।
Like this:
Like Loading...