মেলায় প্রবেশ করে একটু এগোলেই চোখে পড়ে বড়সড় এক তাঁবু। সে তাঁবুর ভেতরে বিজ্ঞানকে কাবু করে বসে আছে কয়েকজন তরুণ উদ্ভাবক। এই তাঁবুতেই ছিল ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনের ‘ইনোভেশন জোন’। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিত তিন দিনের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের এই জায়গায় ছিল তারুণ্যের জয়গান। গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে এ মেলা।
চলতি বছরের সায়েন্স কংগ্রেস মেলার বিজয়ী হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ও সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের তৈরি ড্রোন। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্দিষ্ট কোনো এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে পারে এমন এক ড্রোন তৈরি করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ইনোভেশন জোনের আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল মাত্র ১২ বছর বয়সী মো. আরাফ ইশরাক। সাধারণ খেলনা গাড়ি থেকে ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এমন একটি রোবট বানিয়েছে সে। আরাফ পড়ছে শেরেবাংলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে। তার রোবটটি কোনো কিছু শনাক্ত করে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নজরে রাখতে পারে। আর এসব কিছু আরাফ শিখেছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখে। আন্তস্কুল বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিল এই খুদে বিজ্ঞানী।
টিম স্পার্ক নামের নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাফেরায় অক্ষম এমন মানুষের জন্য ‘ফ্রি টু ওয়াক’ নামের সহজে যোগাযোগের অ্যাপ তৈরি করেছে। এ ছাড়া দলটি একটি স্বয়ংক্রিয় হুইলচেয়ারও বানিয়েছে, যা সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলায় গেমিং প্রতিযোগিতারও আয়োজনও করা হয়েছিল।