সমালোচনার মুখে ইউটিউবের বিজ্ঞাপনের নীতিমালা
সমালোচনার মুখে পড়েছে ইউটিউবের বিজ্ঞাপনের নীতিমালা। এ নীতিমালা মেনেই ইউটিউবের কোন ভিডিওগুলো ‘বিজ্ঞাপন প্রকাশের উপযুক্ত’, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় গুগল।
এই বিতর্কের সূত্রপাত গত সপ্তাহে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় ব্র্যান্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পারে যে তাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনগুলো ইউটিউবের বিভিন্ন নেতিবাচক ভিডিওগুলোতে দেখানো হচ্ছে। এই ভিডিওগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে এমন, কিংবা ইহুদিবিদ্বেষ, চরমপন্থী বিষয়বস্তু তুলে ধরার বিষয় রয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইউটিউবের জন্য বরাদ্দ করা বাজেট সরিয়ে নেয় এবং ভিডিও দেখার জনপ্রিয় এই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম বিজ্ঞাপন ও বিপণন প্রতিষ্ঠান হ্যাবাস গত শুক্রবার ওটু, বিবিসি এবং ডমিনো পিৎজাসহ যুক্তরাজ্যের সব গ্রাহককে বিজ্ঞাপন গুগল এবং ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয়। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকার, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা, লন্ডন পরিবহন ও ল’রিয়ালের সব বিজ্ঞাপনও সরিয়ে নেওয়া হয়।
শুধু বিজ্ঞাপনদাতারাই নন, কিছু ইউটিউবারও অভিযোগ করেছেন যে প্রতিষ্ঠানটি অন্যায়ভাবে তাদের কিছু ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপনে রাজস্ব থেকে টাকা আয়ের পথটি বন্ধ করে দিয়েছে। মাটান ওজিল নামে এক ইউটিউবার যেমন অভিযোগ করেছেন যে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ইউটিউব হঠাৎ করে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলটি ব্যান করে দেয়। তাঁর ‘রিয়েল ওমেন’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ছিল। এ চ্যানেলটিতে মূলত তিনি পাচার, নির্যাতন ও বর্ণবাদের শিকার নারীদের সাক্ষাৎকারের ভিডিও আপলোড করে থাকেন। কিন্তু দুই বছর পর হঠাৎ ইউটিউব তাঁর চ্যানেলটি বাতিল করে দেয়।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ইউটিউব বিজ্ঞাপনের নীতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক ব্লগপোস্টে বিজ্ঞাপনের নীতিমালা আপডেট করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানায় যে ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও আপলোড হওয়ায় অনেক সময় সঠিক ভিডিও বাছাই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
Like this:
Like Loading...