সাত খুনের আসামিদের স্বজনদের সরকারি বাসভবনে গোপন বৈঠকের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান। সাত খুনের মামলার আসামি এমএম রানার শাশুড়ী, তারেক সাঈদের বাবা, নূর হোসেনের ভাই ও ভাতিজাদের নিয়ে সরকারি বাসভবনে বৈঠক ও নানা আয়োজনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে সরকারি ওই বাসভবনে সাত খুনের আসামিদের ঘনিষ্ঠ স্বজনদের গোপন বৈঠক ও বিশাল খাবারের আয়োজন করেন ওই প্রকৌশলী। সেখানে মোট ১২/১৩ জন ছিলেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনার সংবাদ প্রকাশ না করতেও নানাভাবে চেষ্টা চালানো হয়।
এমন গোপন বৈঠকের ভিডিও ফুটেজ পাওয়ার পর ওই নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে ঘটনাটি দেখছি বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগে সরেজমিন গিয়ে কেয়ারটেকার জবেদ আলী ও ইসমাইলের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, এম এম রানার শাশুড়ী ও ওই নির্বাহী প্রকৌশলী দুইজনে ক্লাস ফ্রেন্ড। এই সুযোগ নিয়ে আসামি পক্ষের কয়েকজন স্বজন ও আইনজীবী বৈঠক করেন এই বাসভবনে।
আসামিদের স্বজনদের সরকারি বাসভবনে গোপন বৈঠকের বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান টিপু মুন্সী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সরকারি বাসভবনে সাত খুনের আসামিদের স্বজনদের নিয়ে কোনোভাবেই অবস্থান করার সুযোগ নাই নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের। তিনি এমন কাজ কি করে করলেন তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। তবে এই বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে বিভাগীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখছি।’