বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্র্যান্ড নেম’ সাকিব আল হাসান দেশের সব ক্রিকেটারের চেয়ে বেশি ধনী ব্যক্তিত্ব। এমনকি দেশের অন্যতম ধনীদের মধ্যেও তার নাম রয়েছে।
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের মাসিক আয় প্রায় ২২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। বছরে যা ২৭৫ কোটি টাকা। ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজকরা ক্রিকেট ট্র্যাকার নামে একটি ওয়েবসাইট এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
শুধু জাতীয় দলের সম্পদ নন, বিশ্বের প্রায় সবকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সমান বিচরণ বাংলাদেশের এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান সুপার লিগ- সব লিগেই বেশ ভালোই দাপট সাকিবের।
তবে সব থেকে বেশি আয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলেই। শুধু ক্রিকেট খেলেই এই পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেননি সাকিব। বিভিন্ন কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েও প্রচুর অর্থ উপার্জন করে চলেছেন তিনি। এছাড়াও রয়েছে নিজের রেস্তোরাঁ, শো-রুম, আউটলেট ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা (ফিয়েস্তা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট); পাশাপাশি বিজ্ঞাপন-শুটিংয়ের কাজ তো আছেই।
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
টেস্ট: ৪২ টেস্টে ২ হাজার ৮শ’ ২৩ রান। ১৪৭ উইকেট। ব্যাটিং গড় ৩৯ দশমিক ৭৬। শতক সংখ্যা ৩টি।
ওয়ানডে: ১৫৭ ওয়ানডেতে ৪ হাজার ৩শ’ ৯৮, উইকেট সংখ্যা ২০৬। ব্যাটিং গড় ৩৫ দশমিক ১৮। এছাড়া ৬টি শতক অাছে তার।
টি-টোয়েন্টি: ৫৪ টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার ১শ’ ৩ রানে শিকার করেছেন ৬৫ উইকেট। ব্যাটিং গড় ২৩ দশমিক ৯৭।