দ্রুতগতির ইন্টারনেটের জন্য শুধু নেটওয়ার্ক নয় উপযুক্ত ডিভাইসও প্রয়োজন। এ জন্য জোট বেধেছে স্যামসাং ও ভেরিজন।পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযাগ কোম্পানি ভেরিজনের সঙ্গে চুক্তি করেছে মোবাইল ফোন নির্মাতা স্যামসাং। যৌথভাবে তারা ২০১৯ সালের প্রথমভাগেই ফাইভজি ফোন আনার ঘোষণা দিয়েছে।এক বিবৃতিতে কোম্পানি দুটি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে হাওয়াইয়েতে কোয়ালকমের বার্ষিক ’স্ন্যাপড্রাগন টেকনোলোজি সামিটে’ ফাইভজি ফোনের প্রোটোটাইপ (ডামি সংস্করণ) উন্মোচন করা হবে। সেখানেই জানা যাবে কোন মডেলের ফোনে আসবে ফাইভজি।বছরের শুরুতে সাধারণত গ্যালাক্সি এস সিরিজের ফোন আনে স্যামসাং। তাই ধারণা করা হচ্ছে, গ্যালাক্সি এস১০ হবে তাদের প্রথম ফাইভজি ফোন।গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে হোম ব্রডব্যান্ড সেবায় ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু করে ভেরিজন। স্যামসাংয়ের সঙ্গে যৌথ ঘোষণার পর মনে হচ্ছে স্মার্টফোনে ফাইভজি নেটওয়ার্ক পেতে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।বিশ্লেষকরা বলছেন, কাঙ্ক্ষিত গতি সর্বত্র পৌঁছাতে আরও পাঁচ বছর লেগে যাবে।ফাইভজি ফোন তৈরিতে ব্যবহার করা হবে স্ন্যাপড্রাগন এক্স৫০ ফাইভজি এনআর মডেম ও অ্যান্টেনা।স্যামসাং ছাড়াও আরও অনেক ফোন নির্মাতা কোম্পানি ফাইভজি ফোন তৈরিতে কোয়ালকমের সঙ্গে চুক্তি করেছে। যদিও পেটেন্ট সম্পর্কিত দ্বন্দ্বের জেরে কোয়ালকমের চিপ ব্যবহার করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল।পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কের জন্য সেলুলার মডেম চিপ পেতে ইন্টেলের সঙ্গে কাজ করছে অ্যাপল।আইফোনে ফাইভজি প্রযুক্তির জন্য ইন্টেল ৮১৬১ মডেলের চিপ ব্যবহার করা হতে পারে। এই চিপ দ্রুত গরম হয়ে যায়। ফলে কিছু সময় ফাইভজি ব্যবহার করলে আইফোন গরম হয়ে যাবে। এ ত্রুটি সারাতে কাজ করছে উভয় জায়ান্ট।সব মিলিয়ে ২০২০ সালের আগে আইফোনে পাওয়া যাবে না ফাইভজি নেটওয়ার্ক।