রিমান্ডে থাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিম ও কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানের শরীরী ভাষার (বডি ল্যাঙ্গুয়েজ) সঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন গুলশান হামলা মামলার তদন্তকারীরা। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের (সিটি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেছেন।
দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কী পরিস্থিতিতে হাসনাত রেজা করিম ও তাহমিদ হাসিব খানের হাতে অস্ত্র ছিল, কী পরিস্থিতিতে তাঁদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এমন হয়েছে, এটা বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এসবের সঙ্গে মিলিয়েই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হলে এ বিষয়ে কোনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমরা দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, হাসনাত করিম ও তাহমিদকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে রিমান্ডে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গুলশান (হলি আর্টিজান বেকারি) হামলার মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যেসব পুলিশ সদস্য সেখানে প্রথম গিয়েছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। যাঁদের সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাঁদের এই মামলায় সাক্ষী করা হবে।
গত ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা হামলা চালান। সেখানে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা রবিউল করিম ও সালাউদ্দিন খান নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। পুলিশ এরপর ওই রেস্তোরাঁ থেকে ১৭ জন বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করে। রেস্তোরাঁর কর্মী জাকির হোসেন ওরফে শাওন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।
অভিযানের আগে ও পরে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর হাসনাত করিম, তাহমিদসহ আটজনকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। হাসনাত ও তাহমিদ ছাড়া অন্যদের পরদিন ছেড়ে দেওয়া হয়। ৮ জুলাই এ দুজনকেও ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে পুলিশ। তবে তাঁরা বাসায় ফেরেননি। ৩ আগস্ট হাসনাতকে তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড ও তাহমিদকে বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরদিন তাঁদের আট দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গি অর্থায়ন, অস্ত্রের সম্ভাব্য সরবরাহকারী, প্রশিক্ষণদাতাসহ অনেকের তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। গুলশান হামলার ঘটনায় প্রণিধানসংখ্যক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। হামলার পরিকল্পনাকারীর অবস্থানের বিষয়েও অনেকে খবর দিচ্ছেন। এসব সূত্র ধরে অভিযান চলছে।
হাসনাত করিম ও তাহমিদের সম্পর্কে একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মনিরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সংস্থার কারও সঙ্গে কথা বলা ছাড়া এ ধরনের ‘কথিত অনুসন্ধানী’ প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ভুল-বোঝাবুঝি দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, এ রকম খবর প্রকাশিত হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বাধীনভাবে যে তদন্ত করছেন, সেই তদন্তকাজে মানসিক চাপ অনুভব করতে পারেন। এর ফলে তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে। এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্ত সংস্থার সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এ ধরনের ‘কথিত অনুসন্ধানী’ প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব, যাঁরা এসব কাজ করছেন, তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’
গণমাধ্যমে হাসনাত করিম ও তাহমিদের প্রকাশিত ছবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির যুগে অনেক কিছুই করা সম্ভব। এ ধরনের ছবি কারও কাছে থাকলে তা তদন্তকারীর কাছে সরবরাহ করার অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, তবে তদন্তকারীরা অনেক ছবি পেয়েছেন, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মামলা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য যদি হাসনাত করিম ও তাহমিদের কাছে পাওয়া যায়, যদি প্রতীয়মান হয় যে এই মামলার সঙ্গে তাঁরা জড়িত, তাহলে এই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। সেটাও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পর বলা যাবে।
# | Cases | Deaths | Recovered |
---|---|---|---|
World | 0 | 0 | 0 |
Bangladesh | 0 | 0 | 0 |
Data Source: worldometers.info |
সানি সানওয়ার কাজ করেন নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ নিয়ে। স্বপ্ন দেখেন কার্বন নিঃসরণমুক্ত বিদ্যুৎ–ব্যবস্থার। ...
বিস্তারিতধরুন আপনার অসাধারণ কিছু প্রোডাক্ট আছে। খুব সুন্দর করে কন্টেন্ট তৈরী করে নিজের ওয়েবসাইট সাজিয়েছেন। পণ্যের ছবি ...
বিস্তারিতআজকে যে বিষয়টা দিয়ে আলোচনা শুরু করতে চাই, সেই ধারণাটার জন্ম স্ট্রিং তত্ত্ব থেকে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এর ...
বিস্তারিতফেসবুক ব্যবহারের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি প্রায় সবাই জানেন। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যের ...
বিস্তারিত