৩০ কোটি টাকা খেলাপি কম্পিউটার সোর্স, সম্পত্তি নিলামে
প্রায় ৩০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের দায়ে দেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য আমদানিকারক ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সোর্স লিমিটেডের সম্পত্তি নিলামে উঠছে।কোম্পানিটির কাছে প্রাপ্য ২৯ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২১ টাকা ঋণ আদায়ে এই নিলাম ডেকেছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড।ঋণ গ্রহণে কম্পিউটার সোর্সের বন্ধক রাখা রাজধানীর গুলশানের খিলক্ষেতস্থ সোয়া ৮ ডিসিমাল করে দুটি আলাদা প্লটে দুটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নিলামে তোলার কথা জানিয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। প্লটগুলো পিংকসিটি রেসিডেন্সিয়াল প্রজেক্ট-১ এ।রোববার একটি জাতীয় দৈনিকে এ নিয়ে নিলাম বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।
কম্পিউটার সোর্স এর পরিচালক শামসুল হুদা ফোকাস টাইম ২৪ কে জানান, ‘বিষয়টি আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে আমরা চিঠি দিয়েছি। ইউনিয়ন ক্যাপিটালের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে এটা রিশিডিউল করা হবে।’ইউনিয়ন ক্যাপিটাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ধানমণ্ডি আবাসিকের ১২(নতুন) নং রোডের ১১/বি হাউজে কম্পিউটার সোর্সের কর্পোরেট মার্কেটিং অফিসের ঠিকানায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু হানিফ মো. মাহফুজুল আরিফের প্রতিনিধিত্বে ঋণ নেয়া হয়েছে। ঋণের বিপরীতে ২১ আগস্ট ২০১৭ সময় পর্যন্ত ইউনিয়ন ক্যাপিটালের এই প্রাপ্য দাঁড়িয়েছে।অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩ এর ১২(৩) ধারা অনুয়ায়ী এই নিলাম। যথারীতি বন্ধকী ওই সম্পত্তির বিপরীতে যথাযথভাবে আর্থিক মূল্যায়নও করা আছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।নিলামে অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ২০১৭ সালের ২ অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তাবিত দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।২০১৬ সাল হতেই কম্পিউটার সোর্স বাজারে নিজেদের শীর্ষ অবস্থান হতে ছিটকে পড়ছে বলে বলছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, সোর্স এ খাতে ব্যবসা গুটাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিনিয়োগ অন্য খাতে করছেন বিশেষ করে ব্যাপক ভূ-সম্পত্তি ক্রয়ে।ওই সময় হতে প্রতিষ্ঠানটির কয়েক ধাপে অনেক কর্মীকে চাকরিচ্যুতও করে। দেশের অনেক শোরুম বন্ধ করে দেয় তারা।যদিও ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কম্পিউটার সোর্সের আরেক পরিচালক এ ইউ খান জুয়েল বলেছিলেন, এসব ভিত্তিহীন ও অপপ্রচার । তিনি তখন বাজারে সোর্সকে নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।কম্পিউটার সোর্স ৪৩টি তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য আমদানি ও দেশে সরবরাহ করে থাকে।