আর্থিক দুর্দশা জীবনেও ঘুচবে না, যদি আপনার থাকে এই ৬টি অভ্যেস
জীবনে সুখের জন্য টাকাপয়সার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু সকলের অর্থভাগ্য সমান হয় না। কোনও কোনও মানুষ পরিশ্রম ও নিষ্ঠা সত্বেও কোনও দিনই আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করতে পারেন না। বাস্তুশাস্ত্র বলে, আমাদের কিছু কিছু অভ্যেসই আমাদের চারপাশে নেতিবাচক শক্তির এমন একটি বলয় গড়ে তোলে যে, আমাদের জীবনে অর্থাগমের পথ প্রশস্ত হয় না। এই অভ্যেসগুলি থেকে মুক্তি পেলেই আর্থিক দুর্দশারও অনেকখানি অবসান ঘটে বলে মনে করে বাস্তুশাস্ত্র। কোন কোন অভ্যেস অর্থভাগ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. টিফিন বক্সে মিষ্টি নিয়ে ঘোরা: অনেকে আছেন, মিষ্টি ছাড়া যাঁদের খাওয়া সম্পূর্ণই হয় না। এঁরা বাইরে টিফিন নিয়ে গেলে, টিফিন কেরিয়ারে করে অবশ্যই মিষ্টি বয়ে নিয়ে যান। বাস্তুর মতে, মিষ্টি নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। এতে অর্থাগমের পথে বাধা সৃষ্টি হয়। কাজেই সঙ্গে মিষ্টি নিয়ে ঘোরা, খুব বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২. রাত্রিবেলা সুগন্ধী দ্রব্য মাখা: অনেকে রয়েছেন, যাঁরা রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে সেন্ট বা ডিও-র মতো সুগন্ধী মেখে শোন। এতে অশুভ শক্তি উজ্জীবিত হয় বলেই মনে করে বাস্তু। পরিণামে আর্থিক দুর্গতি বৃদ্ধি পায়।
৩. নোংরা পোশাক পরা: একই পোশাক অনেক দিন না-কেচে পরা যাঁদের অভ্যেস, তাঁরা সাবধান। বাস্তু বলছে, অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরার ফলে নেতিবাচক শক্তির অধীনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে টাকাপয়সার দিক থেকেও দুর্ভাগ্যের সম্মুখীন হতে হয়।
৪. ঘরে মাকড়শার জাল পরিষ্কার না করা: ঘরে মাকড়শার জল জমে ওঠা, বাস্তমতে, অত্যন্ত অশুভ। এতে বাসস্থানের চার দিকে নেতিবাচক শক্তির বসতি গড়ে ওঠে। গৃহজীবনের সামগ্রিক অবনতি ঘটে এতে।
৫. বড় নখ রাখা: বড় নখ রাখার অভ্যেস রয়েছে যাঁদের, তাঁরা সাবধান হন। বাস্তু বলছে, বড় নখের ফলে নেতিবাচক শক্তি উজ্জীবিত হয়, এর প্রভাবে শরীর-স্বাস্থ্যের যেমন অবনতি হয়, তেমনই অর্থাগমের পথেও বাধা সৃষ্টি হয়।
৬. খোলা চুলে ঘুরে বেড়ানো: বাস্তু মতে, যাঁরা লম্বা চুল রাখেন, এবং চুল না বেঁধেই রাস্তাঘাটে বেরনো যাঁদের অভ্যেস, তাঁদের উপর অশুভ শক্তি ক্রিয়াশীল হয়। এঁদের অর্থভাগ্যে কোনও দিন উন্নতি হয় না।