‘ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে বিতর্কিত করবে’
ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে বিতর্কিত করবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
আজ বুধবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়ে দেশকে যেখানে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যার ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধণে ৫জি চালু, ইন্টারনেট ও ভয়েস কলের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপি তাদের ইশতেহারে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি, ইন্টারনেটের মূল্য কমানো ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে বাধাপ্রাপ্ত এনটিটিএন ও আইজিডাব্লিউদের সিন্ডিকেট ভাঙার অঙ্গীকার করেছেন। সেখানে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন এটাই জাতি প্রত্যাশা করে।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে জানা যায়- নির্বাচনের দিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র বিরোধীতা করছি। কারণ এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সারা বিশ্বের চোখ থাকবে বাংলাদেশের উপর। ইতোমধ্যে অনেক দেশই জানিয়ে দিয়েছে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সরাসরি আসছে না। তারা প্রযুক্তির মাধ্যমেই সব বিষয়ে খবর রাখছেন। যদি ইন্টারনেটের গতি কমানো হয় তাহলে বিশ্ব দুনিয়া বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে খবর ও তথ্য তাৎক্ষণিক সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হবে। তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত ইন্টারনেটের গতি না কমিয়ে ফেইক ফেইসবুক, টুইটার, হোয়াটসআপ, ই-মেইল, স্কাইপি ও ফেইক অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করা। যদি তা না করা হয় তাহলে তথ্য সংগ্রহে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে কেউ কেউ সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তুলতেই পারে। বিতর্ক এড়াতে নির্বাচন কমিশনের উচিত প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন ও সাইবার ইন্টেলিজেন্সকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক অবস্থায় রাখা।