মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলার প্রতি গ্রামে গরু পালন করে কৃষকেরা আজ নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে সফলতা পাচ্ছে।
গাংনী উপজেলার শ্রেষ্ঠ গরু পালন গ্রাম বাঁশবাড়িয়া। এই গ্রামের একই পরিবারে ৩০/৩৫টি দেশি গরু আছে। মাহাফুজুর রহমান বাবু, আলম হোসেন, তোহিদুল, আকতারুল, খবীর উদ্দীন, আ. হান্নান, আবুল কাসেম সহ আরো অনেকে দীর্ঘ দিন যাবত গরু পালন করে আসছে। এবার কোরবানির হাটে বিক্রয় জন্য তাদের কাছে আছে এঁড়ে গরু, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা।
গাংনী উপজেলার টেপা গ্রামের মৃত আবুল কাসেম ছেলে সাহাদ হোসেনের একটি ষাঁড় আছে, যা বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ হবে বলে এলাকাবাসী জানায়। মেহেরপুরে প্রতিটি খামারে হাজার হাজার গরু এবার কোরবানির হাটে বিক্রয় জন্য তৈরি আছে। খামারীদের আশা যদি ভারত থেকে গরু না আসে তাহলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। তাহলে তাদের অনেকের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার খামারী আব্দুল হক জানান, গরু পালন করতে গিয়ে আমাদের নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। গরুর রোগ হলে চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি। খামারী মালিক অনেকে জানায়, ১৫ টাকা ইনজেকশনের দাম ২০০/৩০০ টাকা নিয়ে থাকে এলাকার হাতুড়ে পশু চিকিৎসকরা।
মেহেরপুর জেলা প্রাণিসস্পদ কর্মকর্তা জানান , জনবল খুব অভাব তাই সময় মত চিকিৎসা সেবা দেয়া যায় না।