২০১৯ সালে পণ্য ও সেবা ব্যবহার, অভ্যস্ততা ও চিন্তার ধরন বদলে দেবে সাত প্রযুক্তি। ডিজিটাইজেশনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও। তাই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিগুলো যে এ দেশেও চলে আসবে তা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। টেলিনরের গবেষণা অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য ও সম্ভাবনাময় এ সাত প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ গ্রাহকের শক্তিশালী ও দ্রুত প্রবৃদ্ধি মোবাইল নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোন। এগুলো হচ্ছে- ডিপফেক, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফাইভজির প্রসার, আইওটি বা ইন্টারনেট অব থিংসের
বিস্তৃত ব্যবহারের উত্থান, বাসায় ব্যবহারে ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটস এবং সচেতনতামূলক বিষয় যেমন ডিজিটাল স্ক্রিনে থাকার সময় নিয়ন্ত্রণ ও মোবাইলচালিত গ্রিন টেকনোলজি।
টেলিনর রিসার্চের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা প্রতিবছরই ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় ও বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে এমন সাত প্রযুক্তি নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সোমবার রাজধানীর জিপি হাউসে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উত্থাপন করেন টেলিনর রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিয়র্ন হ্যানসেন। এর পর আলোচনায় অংশ নেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল পি. ফোলি, টেলিনর রিসার্চ বিয়র্ন টালে স্যান্ডবার্গ, ডেটাসফট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড অ্যাসেম্বল ইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান রহমান রতন, পাঠাওয়ের সিইও হোসাইন ইলিয়াস প্রমুখ।
বিয়র্ন টালে স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘প্রযুক্তিবিশ্ব প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। চলতি বছর যুগান্তকারী উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ব্যাপক পরিসরে হবে বলেই আমরা মনে করি। আমাদের বিশ্বাস, এ উদ্ভাবনের প্রতিফলন, বাস্তবিক প্রয়োগ ও প্রেক্ষিতের প্রয়োজনকেই তুলে ধরবে এবং ২০১৯ সালের প্রযুক্তির কাঁটা সেদিকেই যাচ্ছে। যত পথই পারি দিতে হোক না কেন, আমরা চাই আমাদের জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার যেন নিশ্চিতভাবে নিরাপদ, বাস্তব ও ইতিবাচক হয়।’
টেলিনর রিসার্চের মতে, অতি উন্নত অ্যালগরিদম সহজেই জাল ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে পারবে এবং ডিপফেক কনটেন্টগুলো এতটাই অত্যাধুনিক হবে যে ডিজিটাল বিশ্বের কোনটা আসল কিংবা কোনটা নকল, তা আলাদা করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই ২০১৯ সালে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, অপারেটর এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ডিপফেক কনটেন্ট হ্রাসে কাজ করবে এবং এ নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে গণসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।
ইতোমধ্যেই পুরো বিশ্ব ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে। তবে এর সম্ভাবনা পুরোপুরি উপলব্ধি করা যাবে ২০১৯ সালে। এ বছরেই বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিপণন প্রচারও লক্ষ্য করা যাবে। স্বচালিত ও স্বয়ংবাহিত বাস থেকে অটোমেটেড ফিশারিজ, ডেটানির্ভর টিভি ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড থেকে ফাইভজি ক্ষমতাসম্পন্ন রিমোট সার্জারির সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশনসহ বাণিজ্যিকভাবে এ প্রযুক্তির নানা ব্যবহার গ্রাহকের জন্য বাজারে চলে আসবে।
এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে লো-পাওয়ার ওয়াইড-এরিয়া (এলপিডব্লিউএ) ইকোসিস্টেমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটির মাধ্যমে প্রোটোটাইপ থেকে বৃহৎ পর্যায়ে কমার্শিয়াল ডেপ্লয়মেন্ট (বাণিজ্যিক স্থাপনা) ঘটবে। আইওটি শিল্প বিশেষ করে স্মার্টসিটি, শিল্প উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাত শিল্প যেমন- শিপিং, ট্রাফিক ও ট্রান্সপোর্ট মনিটরিং ও ফিশারিজ গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে টেক্সটনির্ভর চ্যাটবটস, ভয়েস-অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটসে রূপান্তরিত হবে। বাসার প্রতিদিনকার কাজের রুটিনগুলো অত্যন্ত সহজে ভয়েস-অ্যাক্টিভেটেড চ্যাটবটসনির্ভর স্মার্ট ভয়েস-রিকগনিশনের নানা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে করে ফেলা যাবে। সম্ভাবনা রয়েছে, ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য এটি ব্যাপক পরিসরে বাজারে চলে আসবে।
| # | Cases | Deaths | Recovered |
|---|---|---|---|
| World | 0 | 0 | 0 |
| Bangladesh | 0 | 0 | 0 |
| Data Source: worldometers.info | |||
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য খবরের শিরোনামে রয়েছে চিন। এই দেশেরই এক শহরে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, ...
বিস্তারিত
লক ডাউনের মধ্যে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভিডিও কল। আর সেই কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ...
বিস্তারিত
নিউইয়র্ক: কান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল প্রায় ২ কিলোমিটার ...
বিস্তারিত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হওয়া নতুন রোগী শনাক্তে অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সম্প্রতি দেশটির কিছু ...
বিস্তারিত
