ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে সরকার। ডিজিটাল সরকার আর ডিজিটাল শিক্ষার বাস্তবায়ন এরই অংশ। এর সঙ্গে পরিবর্তন আসছে মানুষের জীবনধারাতেও। নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত জীবনধারার যে অনুষঙ্গগুলো আছে, সেগুলো পরিবর্তন না করলে ডিজিটাল রূপান্তর সম্পূর্ণ হবে না। এই লক্ষ্য ত্বরান্বিত করতেই গত রোববার ঢাকায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি কার্যালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সব সংগঠনের প্রতিনিধিরা এক জোট হয়ে প্রণয়ন করেন ‘স্মার্ট সিটি’র ধারণা। এ উদ্যোগের আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।
স্মার্ট সিটি নিয়ে মোস্তাফা জব্বার গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পৃথিবীতে কয়েকটি দেশ আছে যারা স্মার্ট সিটি ধারণার বাস্তবায়ন করছে। সিঙ্গাপুরের উদাহরণ এখানে টানা যেতে পারে। তবে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের তুলনা না করে বরং আমাদেরকে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন আনতে হবে। এর জন্য জনসচেতনতা তৈরি করা, প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলা এবং বিশেষ করে সরকারকে সচেতন করাই আমাদের কাজ।’
কক্সবাজারের মহেশখালীকে ডিজিটাল দ্বীপ হিসেবে রূপান্তরের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তা উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা এই ধারণাগুলোর বাস্তবায়ন করতে চাই। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি যে সংগঠনগুলো আছে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ধারণাটি জনপ্রিয় করব। আমরা সম্মেলন, কর্মশালা ও গোলটেবিল বৈঠক করতে পারি। সবে এই ধারণার শুরু হয়েছে। কারিগরি দিক থেকে বলতে গেলে ডিজিটাল রূপান্তরের জন্যই স্মার্ট শব্দটির ব্যবহার।’
স্মার্ট সিটির ধারণা মূলত সরকারকে সাহায্য করা বলে উল্লেখ করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে আমরা সমন্বয় আনতে চাই, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে সবাই এক জোট হয়ে কাজ করতে চাই।