দেশে গেম খেলতে ও গ্রাফিকসের কাজ করেন—এমন ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। গেমারদের কথা মাথায় রেখে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বাজারে আনছে নতুন নতুন গেমিং ল্যাপটপ। গেমিং ল্যাপটপ কেনার সময় একটি কথা মাথায় রাখতে হবে। তা হলো, এটি সাধারণের ব্যবহারের জন্য তৈরি নয়। যাঁরা গেমভক্ত এবং গেমের উন্নত অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাঁদের জন্য গেমিং ল্যাপটপ। বাংলাদেশের বাজারেও এখন বেম কিছু ব্র্যান্ডের গেমিং ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। এইচপি, আসুস, এমএসআই, ডেলের মতো ব্র্যান্ডগুলোর গেমিং ল্যাপটপ রয়েছে। গেমিং ল্যাপটপের দাম তুলনামূলক বেশি হয়। তাই অর্থ খরচ করে এ ধরনের ল্যাপটপ কেনার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
হার্ডওয়্যার উপযুক্ত কি না (সিপিইউ+জিপিইউ)
অ্যাসাসিনস ক্রিড বা ওয়াচডগসের মতো গেমগুলো খেলতে প্রচুর প্রসেসিং ক্ষমতার প্রয়োজন পড়ে। তাই এমন প্রসেসর দরকার, যাতে স্বচ্ছন্দে তা খোলা যায়। ল্যাপটপে বাধামুক্ত গেমিং অভিজ্ঞতা পেতে ইনটেল কোর আই ৭ কোয়াড কোর প্রসেসর থাকা চাই। তবে যাঁরা খরচ কিছুটা কম করতে চান, তাঁরা ডুয়াল কোর আই ৫ নিতে পারেন। এইচপির ওমেন সিরিজ বা লেনোভোর লিজিয়ন সিরিজে ইনটেল কোর আই ৭ কোয়াড কোর প্রসেসর আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের প্রসেসরযুক্ত গেমিং ল্যাপটপের দাম হয় এক লাখ টাকার ওপরে। সিপিইউর পাশাপাশি গেমিং ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে জিপিইউ সমান গুরুত্বপূর্ণ। জিপিইউ মানে গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট। গেমিং ল্যাপটপে গ্রাফিকস ভালো না হলে গেমের অভিজ্ঞতা ভালো হবে না। এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স থাকতে হবে। হাই এন্ড ল্যাপটপে জিটিএক্স ১০৮০ বা জিটিএক্স ১০৭০ জিপিইউ থাকে। তবে জিটিএক্স ১০৬০ বা ১০৫০ জিপিইউ গেমের চাপ নিতে পারে।
যথাযথ র্যাম ও ভির্যাম
গেমিং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে র্যাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেশি র্যাম ও ভিডিও র্যাম বা ভির্যাম আছে—এমন ল্যাপটপ পছন্দ করতে পারেন। র্যাম যত বেশি হবে, গেমের অভিজ্ঞতা তত উন্নত হবে। গেমিং ল্যাপটপে কমপক্ষে ৮ জিবি র্যাম থাকা চাই। এর কম হলে সে গেমিং ল্যাপটপের দিকে না যাওয়া ভালো।
ডিসপ্লে চাই ঝকঝকে
গেমিং ল্যাপটপে রেজল্যুশন কোনোভাবেই যেন ১৯২০ বাই ১০৮০–এর কম না হয়। টপ এন্ডের ল্যাপটপগুলোয় কিউএইচডি (২৫৬০ বাই ১৪৪০) বা ফোরকে (৩৮৪০ বাই ২১৬০) রেজল্যুশন থাকে। তবে ডিসপ্লে যত উন্নত হয়, দাম তত বেশি হতে দেখা যায়। যেমন এমএসআই টাইটান গেমিং ল্যাপটপে ফোরেক রেজল্যুশন আছে। এর দাম চার লাখ টাকার ওপরে। তবে হার্ডকোর গেমারদের ক্ষেত্রে ১৯২০ বাই ১০৮০ যথেষ্ট। স্ক্রিনের মাপ বড় হলে ভালো। ১৭ দশমিক ৩ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেতে বিশেষ সুবিধা পাবেন গেমার।
প্রচুর স্টোরেজ
গেমিং ল্যাপটপ মানে স্টোরেজে ঘাটতি থাকা চলবে না। গেমিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্টোরেজ ফাঁকা থাকা। এসএসডি ও এইচডিডি দুটোই থাকতে পারে। কমপক্ষে এক টেরাবাইট হার্ডডিস্ক থাকতে হবে। অধিকাংশ গেম খেলার সময় ফাঁকা জায়গার প্রয়োজন হবে।
কি–বোর্ড ও টাচপ্যাড
ল্যাপটপে গেম খেলতে গেলে কিবোর্ড হওয়া চাই গেমের উপযোগী। কি–বোর্ডে স্বচ্ছন্দ না হলে বা টাচপ্যাড ব্যবহারবান্ধব না হলে গেম খেলার মজা থাকে না। অধিকাংশ গেমিং ল্যাপটপ নির্মাতা এখন কি–বোর্ড ও টাচপ্যাডকে গেমারদের উপযোগী করে তৈরি করছে। কাস্টমাইজ করা ব্যাকলিট কি–যুক্ত ল্যাপটপ পছন্দ করতে পারেন।
শব্দ
গেমিং মানেই শব্দের খেলা। ল্যাপটপে যদি গেমের আউটপুট শব্দ ভালো না আসে, তবে গেমের মজা নষ্ট হয়। গেমিং ল্যাপটপ কেনার সময় অডিও যন্ত্রাংশের মান অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। স্পিকার পাশে না সামনে অবস্থিত, সেটি খেয়াল করতে হবে। সামনের দিকে থাকা স্পিকার সুবিধাজনক।
গঠন: গেমের উপযোগী ল্যাপটপ যেন মজবুত হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
কুলিং সিস্টেম: ল্যাপটপে বাতাস বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে কি না এবং কুলিং সিস্টেম উন্নত কি না, তা অবশ্যই দেখে নিতে হবে।]
গেমিং ল্যাপটপের দাম
আসুস
মডেল: আসুস টিইউএফ গেমিং এফএক্স৫০৫জিই
জেনারেশন: ৮
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৫ ৮৩০০এইচ
ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি
র্যাম: ৮ জিবি, ডিডিআর৪
স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট এইচডিডি+১২৮জিবি এসএসডি
দাম: ৯১ হাজার ২৫০ টাকা।
এমএসআই
মডেল: এমএসআই জিভি৬২ ৮আরই
জেনারেশন: ৮
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৭ ৮৭৫০এইচ
ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি
র্যাম: ১৬ জিবি, ডিডিআর৪ ২৬৬৬এমএইচজেড
দাম: ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা।
ডেল
মডেল: ডেল ইন্সপাইরেশন ১৫–৭৫৬৭
জেনারেশন: ৭
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৭ ৭৭০০এইচকিউ
ডিসপ্লে: ১৫.৬ ইঞ্চি
র্যাম: ৮ জিবি, ডিডিআর৪
স্টোরেজ: ৫০০ জিবি এইচডিডি+১২৮জিবি এসএসডি
দাম: ১ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা।
এইচপি
মডেল: এইচপি ওএমইএন ১৭–এন০২৫ টিএক্স
জেনারেশন: ৭
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই৭ ৭৭০০এইচকিউ
ডিসপ্লে: ১৭.৩ ইঞ্চি
র্যাম: ১৬ জিবি, ডিডিআর৪
স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট এইচডিডি+৫১২জিবি এসএসডি
দাম: ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩০ টাকা।
আরও সংবাদ
# | Cases | Deaths | Recovered |
---|---|---|---|
World | 0 | 0 | 0 |
Bangladesh | 0 | 0 | 0 |
Data Source: worldometers.info |
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের জন্য খবরের শিরোনামে রয়েছে চিন। এই দেশেরই এক শহরে প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, ...
বিস্তারিতলক ডাউনের মধ্যে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভিডিও কল। আর সেই কারণে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ...
বিস্তারিতনিউইয়র্ক: কান ঘেঁষে না হলেও পাশ ঘেঁষে তো বটেই। কেটে গেল ফাঁড়া। পৃথিবীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল প্রায় ২ কিলোমিটার ...
বিস্তারিতকরোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হওয়া নতুন রোগী শনাক্তে অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সম্প্রতি দেশটির কিছু ...
বিস্তারিত