তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে চাকরির ধরন বদলে যাচ্ছে। অনেকেই প্রচলিত চাকরির বদলে বেছে নিচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিংকে। যাঁরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পিএইচপি, পাইথন, জাভা, ডট নেট ডেভেলপিং শিখেছেন, তাঁদের জন্য এখন ঘরে বসেই কাজ করার নানা সুযোগ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের একটি প্ল্যাটফর্মে আনতে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন চালু করেছে ডিজিটাল নিনজা নামের একটি সেবা।
ডিজিটাল নিনজার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দক্ষ কর্মীদের জন্য গ্রামীণফোনের নানা প্রকল্পে কাজের সুযোগ রয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন করপোরেট প্রকল্পেও কাজের সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফ্রিল্যান্সরা ঘরে বসেই ডিজিটাল নিনজাতে কাজ করে অর্থ আয় করতে পারবেন। এতে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকবে।
গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, আইটি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি দেশি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ডিজিটাল নিনজা। এর মাধ্যমে দেশে একটি মার্কেটপ্লেস গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। ক্রাউড সোর্সিং ধারণার ওপরে তৈরি এ প্ল্যাটফর্মে নতুন কাজ ও চ্যালেঞ্জ খুঁজে পাবেন ফ্রিল্যান্সাররা। এখানে পিএইচপি, পাইথন, জাভা ও ডট নেট ডেভেলপার; ইউএক্স ও ইউআই ডিজাইনার; এমএল এক্সপার্ট, কিউএ ইঞ্জিনিয়ার; ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার; অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, আইওএস অ্যাপ ডেভেলপার এবং ডেভঅপস বিশেষজ্ঞদের জন্য কাজের সুযোগ থাকবে। চাকরির আবেদন বা প্রকল্পভিত্তিক কাজের জন্য পোর্টফোলিও শেয়ারিংয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ডিজিটাল নিনজা প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করা যাবে। দেশের যেকোনো জায়গায় বসে অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পারার সুযোগ থাকবে।
তানভির হোসেন জানান, গতানুগতিক ধারার বাইরে ট্যালেন্টপুল তৈরি লক্ষ্য থেকে ডিজিটাল নিনজা তৈরি। হোয়াইট বোর্ডের ওয়েবসাইটের (http://www.white-board.co/digital-ninja/2) মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এ প্ল্যাটফর্মে আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দক্ষতা, প্রোফাইল ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তিনটি বিভাগে স্কিলসেট শনাক্ত করা হবে। বিভাগগুলো হলো ইয়েলো, গ্রিন ও ব্ল্যাক বেল্ট। একবার মূল্যায়নপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে আবেদনকারী ডিজিটাল নিনজা কমিউনিটির অংশ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
গত নভেম্বর মাসে ডিজিটাল নিনজা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। এ প্ল্যাটফর্মে ৩০০ জনের মতো ডেভেলপার আবেদন করেছেন। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাঁচটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন। প্রকল্পগুলো হলো জিপি এইচআর চ্যাটবক্স, শপারু, ওয়াওবক্স ও মোবাইল আর্থিক সেবা জিপে।