দেশে ট্রিলিয়ন ডলারের ই-কমার্স বাজার : পলক
দেশে ই-কমার্স খাতের সম্ভাবনা অফুরান। আর এই খাতে দেশে ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। যদি সেই বাজার ধরতে হয় তাহলে ই-কমার্সকে শুধু শহরকেন্দ্রিক না হয়ে গ্রামভিত্তিক করে গড়ে তুলতে হবে বলে বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ই-কমার্স প্লাটফর্ম হিসেবে ই-শপ কর্মসূচি প্রকল্প চালু করা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
পলক বলেন, দেশের ই-কমার্স উন্নয়নে ইতোমধ্যে ভেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। অনলাইন পেমেন্ট বাড়ানোর জন্য গেটওয়ে চালু হয়েছে। আন্তর্জাতিক কিছু গেটওয়েও কাজ করছে। এসব করা গেলে এই খাত থেকে অনেক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে আয় করা সম্ভব হবে।
ই-শপ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪টি ই-শপ স্থাপন করা হবে। এসব ই-শপ থেকে দেশের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে পণ্য কেনা যাবে।
ই-শপ যা গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নে একটি ই-কমার্স উদ্যোগ নামে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করবে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। মোট ১২ মাস সময়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। সেই হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রকল্পের সময় ধরে শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে।
এই সময়ের মধ্যে দেশের ৬৪ জেলার এক হাজার উদ্যোক্তাকে ই-শপ পরিচালনার জন্য ৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
পরে ৬৪ জেলায় যে ই-শপ প্রতিষ্ঠা করা হবে সেগুলোর উদ্যোক্তাদের একটি করে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ইউপিএস, ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, মডেম, ওয়্যারলেস রাউটার, মাল্টিপ্লাগ, পিসি টেবিল, পিসি চেয়ার, হোয়াইট বোর্ড, ফাইল কেবিটেন ও ১০টি ভিজিটর চেয়ার দেওয়া হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটির বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কারিগরি দিক দেখভাল করবে ফিউচার সলিউশন ফর বিজনেস বা এফএসবি।
সংবাদ সম্মেলনে পলক বলেন, এই কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য ভোক্তা ও উৎপাদকের মধ্যে সরাসরি একটা সম্পর্ক তৈরি করা।
বেশ কয়েকটি দেশের ই-কমার্সের উদাহরণ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছে যারা এই ই-শপ নিয়ে কাজ করতে খুবই আগ্রহী। তাদের কাজে লাগাতে পারলে গ্রামীণ অর্থনীতিকে ট্রাডিশনাল ইকোনমি থেকে বের হয়ে ই-কমার্স ভিত্তিক একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামোতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন কর্মসূচি পরিচালক আকতার হোসেন, বাস্তবায়ন সহযোগী এফএসবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেকা হাসান সেঁজুতি, সিআরআই নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস, গাজী টিভির এমডি আমান আশরাফ ফায়েজসহ আরও অনেকে।
Like this:
Like Loading...