আজকের বাংলা তারিখ
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১৮ই জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সন্ধ্যা ৬:৫৭

ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত্ করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দেশে ধর্মের নামে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের স্থান হবে না বাংলাদেশে। জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকার সবসময়ই কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, নিচ্ছে এবং আগামীতেও নেবে। গতকাল শনিবার বিকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্ ধর্মীয় উত্সব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে লালবাগের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সব ধর্মের মানুষের জন্য। এখানে যার ধর্ম সে স্বাধীনভাবে সম্মানের সঙ্গে পালন করবে।

ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি নিয়ে বাংলাদেশের গড়ে ওঠার ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে এদেশের প্রতিটি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছে। সকলের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে এ দেশের মাটিতে। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সকলে এদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। তাই সকল ধর্মের মানুষ তাদের এই দেশটাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করবেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী দল। তাই এই দল যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। কারণ, মানুষের কল্যাণ চিন্তাটাই আমাদের কাছে সব থেকে বড় বিষয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, সৌহার্দ্যের ধর্ম, ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। এখানে কিন্তু জঙ্গিবাদের আসলে কোনো জায়গা নেই। কিন্তু যারা এই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তারা ধর্মবিরোধী কাজই করে। ধর্মের অবমাননা করে। তাই বাংলাদেশে ধর্মের নামে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, এখানে সকলে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এবং করে। সেই পরিবেশটাই আমরা তৈরি করতে চাই- ধর্ম যার যার উত্সব সকলের। আমরা বাংলাদেশিরা সেটাই মানি এবং সকলে মিলে যেকোনো উত্সব উদযাপন করি। কাজেই সকলের তরে সকলে আমরা, আমরা মানবের তরে। এই দেশ যত উন্নত হবে, সমৃদ্ধশালী হবে বিশ্বসভায় ততই আমরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সংঘাত চাই না, সমৃদ্ধি -উন্নতি চাই। যে উন্নতির ছোঁয়া গ্রামের তৃণমূল মানুষ পর্যন্ত পাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্মে স্পষ্ট বলা রয়েছে- ‘লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদিন’ অর্থাত্ যার যার ধর্ম তার তার কাছে। সবাই নিজস্ব মত ও পথ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মকর্ম পালন করবে। তিনি বলেন, সকল ধর্মেই কিন্তু শান্তির কথা বলা হয়েছে, মানবতার কথা, মানব কল্যাণ, মানব উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। কাজেই এটা আমাদেরও মেনে চলতে হবে। ধর্মের নামে কোনো অপকর্ম সহ্য করা হবে না।

নিজের ধর্ম পালনের পাশাপাশি অন্যের ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশটা সকল ধর্মের জন্য। সবাই এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করবে। যার যার ধর্ম সম্মানের সাথে পালন করবে, একজন অপর জনের ধর্মের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে। সুন্দরভাবে মানুষ বাঁচবে, উন্নত জীবন পাবে- সেটাই আমি আশা করি। প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর দিনে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সারাদেশে বিপুল উত্সাহের সঙ্গে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এতটুকু চাই আপনারা প্রার্থনা করবেন আমাদের এই দেশটার যেন উন্নতি হয়। দেশের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করে। আমরা বাংলাদেশকে যেন দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। সকলে মিলেমিশে এ দেশে বাস করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত।

বেলা ৩টা ৫ মিনিটে ঢাকেশ্বরীতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপরই তিনি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরে মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ডিএন চ্যাটার্জী, কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, হাজী মো. সেলিম এমপি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেনগুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত প্রদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ মন্দিরে আগত ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বিকাল ৪ টা ৮ মিনিটে গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনে যান। সেখানেও তিনি প্রথমে পূজা উত্সব পরিদর্শন করেন। এরপর যোগ দেন আয়োজিত শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে।

হোঁচট খেয়ে পড়ে আহত সুরঞ্জিত

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা অর্চনার সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছেই গালিচায় (কার্পেটে) হোঁচট খেয়ে পড়ে যান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এসময় তার কপাল দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রধানমন্ত্রীর বহরের সঙ্গে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় তার ব্যক্তিগত সহকারী কামরুল জানান, সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাকে রাতেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে।

MY SOFT IT Wordpress Plugin Development

Covid 19 latest update

# Cases Deaths Recovered
World 0 0 0
Bangladesh 0 0 0
Data Source: worldometers.info

Related News

সানির ব্যাটারি বিপ্লব

সানি সানওয়ার কাজ করেন নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ নিয়ে। স্বপ্ন দেখেন কার্বন নিঃসরণমুক্ত বিদ্যুৎ–ব্যবস্থার। ...

বিস্তারিত

অনলাইনে ব্যবসা করতে চান?

ধরুন আপনার অসাধারণ কিছু প্রোডাক্ট আছে। খুব সুন্দর করে কন্টেন্ট তৈরী করে নিজের ওয়েবসাইট সাজিয়েছেন। পণ্যের ছবি ...

বিস্তারিত

হলোগ্রাফি এবং পদার্থবিজ্ঞানের মেসি

আজকে যে বিষয়টা দিয়ে আলোচনা শুরু করতে চাই, সেই ধারণাটার জন্ম স্ট্রিং তত্ত্ব থেকে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এর ...

বিস্তারিত

ফেসবুক ছাড়ার বার্ষিক গড় মূল্য ১ হাজার ডলার

ফেসবুক ব্যবহারের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি প্রায় সবাই জানেন। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যের ...

বিস্তারিত