ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের রামপালে তাপবিদ্যুত্ প্রকল্পের বিরোধিতা করলেন খালেদা জিয়া। গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তিনি রামপাল প্রকল্পটি দেশবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের কাছ থেকে অন্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে যে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে তা সুন্দরবনের পরিবেশের পক্ষে বিপজ্জনক, এই অভিযোগে আগেই আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন বাম দল। একই সুরে আজ কথা বললেন খালেদা জিয়াও। তাঁর নেতৃত্বাধীন জোটের অধিকাংশ দলই ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত। এই জোটে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামাতও রয়েছে।
হাসিনা সরকার আগেই বলেছে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূষণের মাত্রা ন্যূনতম রেখেই এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। এই প্রকল্প সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করবে না।
গুলশানের সংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া আজ বলেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন একটি দেশবিরোধী ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। জনমত উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী এই সিদ্ধান্ত জনগণের উপর জবরদস্তিমূলকভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও খালেদার অভিযোগ।
দেড় মাস পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি আসা খালেদা ৩০ মিনিটের বক্তব্যে রামপালের বিদ্যুৎ প্রকল্পের নানা বিষয় তুলে ধরলেও, উপস্থিত সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্ন করার সুযোগ সেখানে সুযোগ ছিল না।
এদিকে খালেদা জিয়ার এই সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে রামপাল বিরোধী আন্দোলনকারী জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টর নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স আনন্দবাজারকে বলেন, “আজ অনেক বছর পরে খালেদা জিয়ার দেখছি শীতনিদ্রা ভঙ্গ হল। বেগম জিয়ার শাসন আমলেই দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে উন্মুক্ত কয়লা খনির বিরোধিতা করায় ২০০৬ সালে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। সেটি আমরা ভুলিনি।”