ঘড়ির কাটায় তখন সকাল ৯টা ১মিনিট। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ আপিল বিভাগের অপর চার বিচারপতি এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। এরপরই বেঞ্চ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আইটেম নম্বর ওয়ান অর্ডার’। এরপর প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করলেন, রিভিউ পিটিশন ইজ ডিসমিস।
আর এতেই একাত্তরের কুখ্যাত নির্যাতন কেন্দ্র চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলের অন্যতম নির্যাতনকারী বদর নেতা মীর কাসেম আলীর প্রাণ বাঁচানোর সবশেষ আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটে। স্বস্তি পান বিচার প্রার্থীসহ উদ্বিগ্ন মানুষ।
তবে আদালত ইতোপূর্বে আপিল বিভাগের দেয়া রায় সংশোধন করেছেন। সেখানে বলেছেন, ১৪ নম্বর অভিযোগে (নাসিরুদ্দিন চৌধুরীকে নির্যাতন) মীর কাসেম দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তাকে কোন দণ্ড দেয়া হয়নি। তাই ট্রাইব্যুনাল যে দণ্ড দিয়েছিল সেটি বহাল রাখা হল। এই কারণেই আপিল বিভাগ তাদের ঐ রায়ের অংশ বিশেষ সংশোধন করে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও মোহাম্মদ বজলুর রহমান।