মোবাইল নম্বরের মতো মোবাইল হ্যান্ডসেটেরও নিবন্ধন করতে হবে। কর ফাঁকি দিয়ে বিক্রিত বিপুল পরিমাণ মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা’ (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি বলছে, দেশে প্রতি বছর বিক্রি হওয়া মোবাইল হ্যান্ডসেটের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ভাগ অসাধু উপায়ে কর ফাঁকি দিয়ে বাজারে ঢুকছে। ফলে ৮০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
বিটিআরসি স্পেক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিবন্ধনের মাধ্যমে অবৈধভাবে আমদানি, চুরি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ করা যাবে, গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে, মোবাইল ফোনের হিসাব রাখা যাবে। সবশেষে সরকারি রাজস্বের ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হবে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দেশে যত হ্যান্ডসেট বৈধভাবে আমদানি হচ্ছে এবং স্থানীয়ভাবে যে মোবাইলগুলো অ্যাসেমব্লিং বা উৎপাদিত হচ্ছে সেগুলোর আইএমইআই নম্বর নিয়ে একটি বৈধ ফোনের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রারের (ইআইআর) মাধ্যমে প্রতিটি সক্রিয় সেট নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।
ব্যবহারকারীর হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য নিজেদের নিবন্ধিত সিমটি সেটে সক্রিয় করলেই সেটটি ওই নামে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হয়ে যাবে। তবে একই সেটে দ্বিতীয় সিম ব্যবহার করতে চাইলে সেই সিমটিও একই নামে নিবন্ধিত হতে হবে।
কারও একাধিক সেট থাকলে তিনি অন্যান্য সেটে যে সিম সক্রিয় করবেন সেই সিমটি যে নামে নিবন্ধিত ফোনটিও সেই নামে নিবন্ধিত হতে হবে। ওই সেটে অন্য নামে নিবন্ধিত কোনো সিম আর কাজ করবে না। অর্থাৎ সিম ও সেট একই নামের নিবন্ধিত না হলে ওই সেটে সিম সক্রিয় হবে না।